পলিশের কারণে চাল দাম বাড়ে ৩-৪ টাকা: খাদ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাধারণ চালকে চকচকে করতে পলিশ করছে মিল মালিকরা। তাতে একদিকে চলে যাচ্ছে চালের পুষ্টিগুণ অন্যদিকে দাম ৩-৪ টাকা বেড়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে পুষ্টি চালের বাণিজ্যিক যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, চালকলে পাঁচ ধরনের পলিশ দেওয়া হয়। মোম পলিশ, স্যালাইন পলিশ, সিল্কি পলিশ এমন নামের। তাতে একদিকে পুষ্টি চলে যায়। অন্যদিকে চালের ঘাটতি হয়। পাশাপাশি বিদুৎ, দামি দামি পলিশ মেশিনের খরচ, ম্যানপাওয়ার অন্যান্য মিলে কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা বাড়তি খরচ হয়। সেই খরচ ধরেই চকচকে পলিশ চালের দাম নির্ধারণ করে মিল মালিকরা। সেটা গুনতে হচ্ছে ভোক্তাকে।

এ সময় তিনি জনগণকে চকচকে চাল বর্জন করে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন চাল খাওয়ার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টমপঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরও যে নীতিগুলো আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খাদ্যাভ্যাসের কারণে মানুষ চকচকে চাল খাচ্ছে। সেজন্য বিদেশ থেকে পুষ্টি এনে দিতে হচ্ছে চালে। বাংলাদেশের জন্য এটি দুখজনক। অর্থিক সংগতি বাড়লে চকচকে চাল খেতে হবে, এ ব্যস্ততা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পুষ্টিচাল যেন সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না।

এ সময় তিনি বেসরকারি চাল ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে উদ্যোগী হওয়ার এবং দাম ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালরর সচিব মো. ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আতিউর রহমান আতিক, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসেন ও জাতিসংঘ বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বাংলাদেশের রেসিডেন্ট রিপ্রেজেনট্যাটিভ ও কান্ট্রি ডিরেক্টর ও ডম স্কেলপেলি বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকে লেনদেন সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা
পরবর্তী নিবন্ধকাতার ও আরব আমিরাত থেকে ৬৮৪ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার