নিউজ ডেস্ক: দেশের শেয়ারবাজার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ব্যাপক দর পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
মূল্যসূচক ও লেনদেন কমার পাশাপাশি দুই বাজারেই দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান।
অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি। দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা ক্রেতার অভাবে তাদের কাছে থাকা শেয়ার বিক্রি করতে পারছেন না।
গতকাল শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
লেনদেনের শুরুতে দেখা দেয়া এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দরপতনের তালিকা। ফলে সবকটি সূচকের বড় পতন দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ২০ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার, দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৮টির। আর ২২০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসই-এক্স আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৯ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ১৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি সূচক কমার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন কমেছে ১২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সি পার্ল বিচ রিসোর্টের শেয়ার ১৮ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাভানা ফার্মা।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স, ইস্টার্ন হাউজিং, বসুন্ধরা পেপার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, সামিট এলায়েন্স পোর্ট, ডেল্টা লাইফ ইনস্যুরেন্স এবং আমরা টেকনোলজিস।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৮ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৬টির এবং ৮৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।