নিউজ ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন হিসেব দেখেছে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে রাশিয়া থেকে এলএনজি আমদানি ৪২ শতাংশ বেড়েছে। এফটির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইয়ন
চলতি বছর ইউরোপ রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে ৬২.১ বিলিয়ন কিউবিক মিটার এলএনজি। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ১৭.৮ বিলিয়ন কিউবিক মিটার। আমদানি তালিকার শীর্ষে রয়েছে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও স্পেন।
বেশির ভাগ এলএনজি সরবরাহ হয়েছে ইয়ামাল এলএনজির যৌথ কোম্পানি থেকে। নোভাটেক নামের এই কোম্পানিটির সঙ্গে অংশীদারিত্ব রয়েছে ফ্রান্সের টোটাল, চীনের সিএনপিসি ও চীনের কিছু সরকারি অর্থানে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানের।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এখন চলছে নবম মাস। পশ্চিমা দেশ, বিশেষ করে ইউরোপ মহাদেশের দেশগুলো বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেছে, তারা রাশিয়ার জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমিয়ে আনবে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে মনে হচ্ছে, তারা দ্বৈত ভূমিকায় থাকতে চায়। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার কোম্পানি ও রপ্তানিকারকদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
কিন্তু সচেতনভাবেই জ্বালানি ও নিত্যপণ্যের কোম্পানিগুলোকে এ ক্ষেত্রে এড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা যুক্তি দেন, রাশিয়ান এলএনজির উপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা ইউরোপীয়দের এক সময় তাড়িত করতে পারে। রাশিয়া পূর্বাহ্নে দেখিয়েছে, তারা ‘তেল ও গ্যাস’ রপ্তানিকে ইউরোপীয়দের নতি স্বীকার করানোর জন্য ব্যহার করতে পারে।
নর্ড স্ট্রেম ১ পাইপলাইনের ক্ষতির কারণে গোটা গ্রীস্মই ইউরোপকে ভুগিয়েছে। পরে দুটি নর্ড স্ট্রেম পাইপলাইনের কারণে তাদের দুঃখ আরো বেড়েছে। এখন শীত এসে গেছে। মস্কো যদি এলএনজিও সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তাহলে ইউরোপের দেশগুলোকে অন্ধকার, ঠান্ডা ও বিবর্ণ সময় পার করতে হতে পারে।