নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (২৭ নভেম্বর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্যসূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে ডিএসইতে লেনদেন তিনশো কোটি টাকার ঘরেই আটকে রয়েছে।
মূল্যসূচক বাড়ার পাশাপাশি দুই বাজারেই দাম কমার তুলনায় দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাই বেশি।
দাম অপরিবর্তিত থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ফ্লোর প্রাইসে আটকে থাকা এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে তারা ক্রেতার অভাবে তা বিক্রি করতে পারছেন না।
এর আগে গত সপ্তাহজুড়ে শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। এরমধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার ডিএসইতে চার মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে রোববার লেনদেন কিছুটা বাড়লেও তা চারশো কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।
এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমার মধ্য দিয়ে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে যায়।
লেনদেনের শুরুতে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত সবকটি সূচক বেড়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। বিশেষত শেষ দুই ঘণ্টার লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকটি বড় মূলধনের প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ে।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪১টির। আর ২১৬টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৭ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৬৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সবকটি মূল্যসূচক বাড়ার দিনে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগের কার্যদিবসের তুলনায় বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৩২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ১৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
বাজারটিতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নাভানা ফার্মার ২০ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বসুন্ধরা পেপার।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, আমরা নেটওয়ার্ক, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন, পদ্মা ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, ওরিয়ন ফার্মা এবং ইস্টার্ন হাউজিং।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।