সুনামগঞ্জে চার দাবিতে চলছে ৩৬ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজি সেতু থেকে টোল বন্ধ, বাস টার্মিনাল সংস্কারসহ চার দাবিতে ৩৬ ঘণ্টা পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শনিবার (১৯ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে জেলা বাস, মিনিবাস পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি ডাকা এ কর্মসূচি।

সকাল থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের কারণে জেলা থেকে দূরপাল্লার কোনো ধরনের যানবাহন চলাচল করছে না। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গমনেচ্ছুরা। অনেকেই সকালে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে ফিরে এসেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন জেলা বাস, মিনিবাস পরিবহন মালিক শ্রমিক সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক। এদিকে, সিলেটে বিএনপির সম্মেলন। সুনামগঞ্জের এ সমিতি বলছে, তাদের কর্মসূচির সঙ্গে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে কোনো সম্পর্ক নেই।

সমিতি না বললেও বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করেন পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে তাদের কর্মসূচির যোগসাজশ রয়েছে। শুক্র-শনি সাপ্তাহিক বন্ধের দিন কেন পরিবহন ধর্মঘট দেওয়া হচ্ছে এ প্রশ্ন তাদের। নেতাদের দাবি, সরকারের নির্দেশ তথাকথিত এ ধর্মঘট দেওয়া হয়েছে।

শনিবার সিলেট আলিয়া মাদরাসার মাঠে নিত্য পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বিভিন্ন দাবিতে সমাবেশ করবে বিএনপি। জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক বলেন, আমাদের সম্মেলনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতেই পরিবহন ধর্মঘট করা হচ্ছে সরকারের সিদ্ধান্তে। জনগণ এখন সরকারকে লালকার্ড দেখাচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ হচ্ছে। সরকার বাস মালিকদের নিয়ে ধর্মঘট দিয়ে হাস্যকর কাজ করছে। আমরা কোনো বাধাই মানব না। আমাদের নেতা কর্মীরা পায়ে হেঁটে হলেও সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে পৌঁছে যাবে। অনেকেই সিলেটের পথে আছে আর অনেকেই পৌঁছে গেছে।

সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল বলেন, আমাদের পূর্ব ঘোষিত সিলেট বিভাগীয় সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করতে এ ঘৃন্যতম কাজ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ছয়টি বিভাগে সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। সবগুলো বিভাগেই সমাবেশের দুদিন আগে থেকে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়। শুক্রবার-শনিবার কোনো বাধাই আমাদের আটকাতে পারবে না। ৮ হাজার মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা সমাবেশে যাবো।

সুনামগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতি ডাকা এ কর্মসূচিতে নেতাকর্মীরা যেসব দাবি উত্থাপন করেছেন, সেগুলো হলো- সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের লামাকাজি সেতু থেকে টোল বন্ধ; রেজিস্ট্রেশনহীন অবৈধ সিএনজি, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা বন্ধ, সুনামগঞ্জ বাস টার্মিনাল সংস্কার ও সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কে বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ করা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদাম বেড়েছে চাল-ডাল-আটার দাম
পরবর্তী নিবন্ধদেশে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত