নিউজ ডেস্ক : খাবার ফ্লেভার থেকে ফুড গ্রেডিং মেশিন, আছে ফুড কালার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরণের রেডি ফুডও। দেশি-বিদেশি ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণে গমগম করছে পুরো মিলনায়তন।
বলছি বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফুড প্রো এক্সপোর কথা।
শুক্রবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টারে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে৷ এখানে ‘নবরাত্রি’, ‘রাজদর্শন’, ‘পুষ্পগুচ্ছ’ ৩টি হলে জমকালো আয়োজনে ৮ম বারের মত এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবারের আয়োজনে মোট ৪৬৩টি স্টলে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কাতার, লিথুনিয়া, চিন, তুরস্কসহ ১৭টি দেশ অংশগ্রহণ করছে।
কথা হয় মেলায় অংশ নেওয়া ফাইভ আর ট্রিমস ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী রাজু আহমেদ রানার সঙ্গে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমরা মূলত খাদ্যপণ্য তৈরির মেশিন উৎপাদন করি। এরমধ্যে আছে- ইনকিউবেটর, পোল্ট্রি কেজ, পোল্ট্রি অটো ফিড সেটাপ, মালসিং পেপার ইত্যাদি। এরপর, উৎপাদিত এসব পণ্য আমরা কৃষক পর্যায়ে এবং নতুন উদ্যোক্তাদের কাছে বিক্রি করি।
কেমন সাড়া পাচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে রাজু আহমেদ বলেন, আজকেই তো উদ্বোধন হলো, এখন পর্যন্ত ভালো, আশা করছি আগামী ২ দিনে আরও সাড়া পাবো।
আরেক প্রতিষ্ঠান জি কে ইন্টারন্যাশনালের একাউন্টস ম্যানেজার মো. সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা মূলত ডেইরি প্রোডাক্টের মেশিনারিজ বিক্রি করি। এরমধ্যে আছে গ্রেন স্ট্রোরেজ সাইলো যেটা শস্যদানাগুলো সংরক্ষণ করে রাখে। আমাদের এখান থেকে প্রাণ আরএফএল, বসুন্ধরা, কাজী ফার্মের মতো কোম্পানিগুলো আমাদের পণ্য নেয়।
ভারতভিত্তিক কোম্পানি এরিজ ম্যাগনেটিকস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটিডের কর্মকর্তা দ্বীপ কুমার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা এরকম আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আনন্দিত। এতে করে বাংলাদেশের বাজারে আমাদের পণ্যের প্রচার এবং প্রসার হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বঙ্গ ফ্লেভার অ্যান্ড ফ্র্যাগন্যান্স (বিএফএফ) লিমিটেডের চিফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার এনসেম লরেন্স মার্টিন বলেন, আমাদের কোম্পানিটা মূলত অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক একটি কোম্পানি। মূল প্রতিষ্ঠানটি হচ্ছে দ্য প্রোডাক্টস মেকারস৷ আমরা তাদের দেশীয় পার্টনার। ফুড প্রসেসিং, প্যাকেট প্রসেসিং, ফ্লেভার, ফুড কালার, ইনগ্রিডিয়েন্টস, সেসনিংস এগুলোর বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনা আছে। আশা করছি, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে এটি আরও এগিয়ে যাবে। বিএফএফ তাদের নিজস্ব ল্যাবে উৎপাদিত ফুড কালার, ফ্লেভার। প্রাণ, আকিজ, বসুন্ধরার মত বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীগুলোর কাছে বিক্রি করে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে- মূলত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির অংশগ্রহণে এ আয়োজনে খাদ্য প্রক্রিয়াজতকরণ যন্ত্রপাতি, খাদ্যের কাঁচামাল, তৈরি খাদ্য, প্যাকেজিং মেশিন থেকে শুরু করে অজস্র পণ্য এখানে পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ প্রদর্শনী চলবে। এবারের আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার বাংলানিউজ২৪.কম, কালের কণ্ঠ, নিউজ২৪ এবং জাগো নিউজ।
ক্রেতা-দর্শনার্থীরা অকুস্থল থেকে বা অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করে টোকেন সংগ্রহ করে প্রদর্শনী স্থলে যেতে পারবেন। ১৩ সদস্য নিয়ে ১৯৯৮ সালে যাত্র শুরু করে বাপা। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক।