নিউজ ডেস্ক : নারীরা যেন উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
তিনি বলেন, নারীর দক্ষতা, মেধা ও মননের সমন্বয়ে অপূর্ব শিল্পকর্মের সৃষ্টি হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারী ও প্রতিবন্ধীদের উৎপাদিত পণ্য কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসে তাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ আয়োজনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
শনিবার (১২ নভেম্বর) হেরিটেজ পল্লী ও প্রেরণা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে জয়িতা ফাউন্ডেশন নারীদের উৎপাদিত পণ্য ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্রির ব্যবস্থা করছে। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক ১০০০ নারী উদ্যোক্তাকে প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আরও ৭০০ নারী উদ্যোক্তাকে প্রণোদনা দেওয়া হবে। নারীদের জীবন-জীবিকা নির্বাহের সঙ্গে ব্র্যান্ডিং বিষয়টি জড়িত। নারীরা যেন উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পান, তা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, অনলাইন ও ই-কমার্সের সুবিধা ক্ষুদ্র ও মাঝারি নারী উদ্যোক্তাদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা নারীদের জন্য বিস্তৃত করা জরুরি। কোভিডের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের এ ধরনের সুবিধা ও প্রণোদনা দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে ক্ষতি মোকাবিলা করে নারীরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারবেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারীরা বিভিন্ন পণ্য তৈরি করছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। তাদের উৎসাহিত করতে সব ধরনের সুবিধা বিস্তৃত করা দরকার। তাদের উৎপাদিত পণ্যের উন্মুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। হেরিটেজ পল্লী ও প্রেরণা ফাউন্ডেশন এক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে।
হেরিটেজ পল্লীর সভাপতি টুটলি রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান ও জার্মানির রাষ্ট্রদূত অখিম ট্রস্টার। অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুবিনা আসাফ।