বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারির উৎপাদন শুরু মার্চে

নিউজ ডেস্ক : সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চে দেশের প্রথম বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারির উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েন (বাজুস) সভাপতি ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর।

সম্প্রতি চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু মিলনায়তনে বাজুস চট্টগ্রাম বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

সায়েম সোবহান আনভীর বসুন্ধরা গোল্ড রিফাইনারি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিন হেলালী বলেন, বাজুস নির্বাচনে আপিল বোর্ডে দায়িত্ব পালনকালে দেখেছি সদস্যদের সমষ্টিগত অবস্থান ছিল না। এখন বাংলাদেশে গোল্ড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি হবে। বাংলাদেশ থেকে সোনা রপ্তানি হবে শুনতেই ভালো লাগছে। আমি মনে করি, এই জুয়েলারি শিল্প সফল হবে। আগামী ৫-১০ বছরেই দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকে ছাড়িয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বলেন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ২৫ শতাংশ শেয়ার বসুন্ধরা গ্রুপের এবিজি লিমিটেড কিনেছে। এ ঘটনা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের জন্য একটি মাইলস্টোন। বসুন্ধরা গ্রুপ পুঁজিবাজারে আসায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি উৎকর্ষের অন্যতম উদাহরণ হবে এই পুঁঁজি বাজার। দেশের মানুষ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যার বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতা আমাদের এই উন্নতির পথে নিয়ে এসেছে।

আসিফ ইব্রাহিম বলেন, দেশের প্রথম কমোডিটি এক্সচেঞ্জ লেনদেন প্রথম শুরু হবে সোনা দিয়ে। আর এ কারণেই বাজুসের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। এজন্য বাজুসকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা পরিকল্পনা করেছি ঐতিহাসিক এই যাত্রা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়ে উদ্বোধন করতে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, বাইরে থেকে অপরিশোধিত সোনা এনে পরিশোধন হবে বাংলাদেশে। আর সেই পরিশোধন থেকে পাওয়া বাইপ্রডোক্ট দিয়ে নতুন নতুন শিল্প গড়ে উঠবে। এটা বসুন্ধরা গ্রুপের অসম্ভব সাহসী উদ্যোগ। ইতিহাস একদিনে রচিত হয় না। নিশ্চয়ই এ উদ্যোগের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের নামও ইতিহাসে লেখা থাকবে।

ইস্টওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বাংলাদেশ সম্ভাবনার দেশ। জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যেভাবে স্বর্ণালঙ্কার তৈরি করেন, সেভাবেই দেশকে গড়ে তুলবেন। পদ্মাসেতু আমাদের কল্পনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। আপনাদের প্রত্যেকের উচিত সোনার বাংলা, সোনার মানুষ গড়ে উঠা।

বাজুসের সাবেক সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ঢাকায় চার পাঁচটি স্বর্ণালংকার কারখানা চালুর পথে রয়েছে। এ শিল্পকে বাঁচাতে হলে সবাইকে বাজুসের পতাকাতলে আসতে হবে। চট্টগ্রামে অনেক সংকট ছিল বাজুসের। আমরা সংকট কাটাতে পেরেছি। আনন্দের বিষয় ৬৪ জেলায় নতুন কমিটি করেছি। ৬-৭ হাজার সদস্য ছিল, এখন বেড়ে ৪০ হাজার হয়েছে। স্বর্ণশিল্প পরাধীন থাকবে না। মেইড ইন বাংলাদেশ লেখা সোনা রফতানি করব।

বাজুস সহ-সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, বাজুসের একটি বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা পাঁচতারকা হোটেলে হওয়াটা গর্বের বিষয়। বাজুস সভাপতির শৃঙ্খলা আমরা মেনে চললে সফল হব। বছরের শুরুতে বাজুস মেলা করেছেন। সুন্দর মেলা হয়েছে। সভাপতি বলেছেন প্রতিবছর মেলা হবে।

বাজুস সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, জুয়েলারি শিল্প প্রাচীন। হাতে তৈরি প্রডোক্টের দাম বেশি। জুয়েলারি শিল্পে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। আমরা রফতানি করব।

অনুষ্ঠানে জেলা উপজেলা নেতাদের প্রশ্নের জবাব দেন বাজুস সহ-সভাপতি ডা. আমিনুল ইসলাম শাহীন ও বাজুস সহ সভাপতি বাদল চন্দ্র রায়।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাজুস চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক প্রনব কুমার সাহা, মৃণাল কান্তি ধর, নোয়াখালীর বাজুস সভাপতি আবুল হোসেন, রাঙামাটির বাজুস সভাপতি মৃদুল দত্ত, লক্ষ্মীপুর সভাপতি হরিহর পাল প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজনতা ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় শাখা ব্যবস্থাপক সম্মেলন
পরবর্তী নিবন্ধসম্মানজনক পিসিআই ডিএসএস সার্টিফিকেট অর্জন করল আইএফআইসি ব্যাংক