নিউজ ডেস্ক : দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের জনপ্রিয় রঙের ব্র্যান্ড রেইনবো বাজারে নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রঙ ‘স্প্রে পেইন্ট’। দেশে একমাত্র উৎপাদিত এই স্প্রে পেইন্টের মোড়ক উন্মোচন হয়েছে আজ।
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বাড্ডায় প্রাণ-আরএফএলের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এই স্প্রে পেইন্টের মোড়ক উন্মোচন করেন শিল্প গ্রুপটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল।
স্প্রে পেইন্টের বহুবিধ ব্যবহার থাকলেও বাংলাদেশে এতদিন আমদানি করা স্প্রে পেইন্টস ব্যবহার করা হতো বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। তবে এখন রেইনবো পেইন্টসের নিজস্ব কারখানায় স্প্রে পেইন্ট উৎপাদন করে বাজারজাত শুরু হয়েছে। রেইনবো শো রুম ও অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে ৪০০ মিলি ক্যানে রেইনবো স্প্রে পেইন্ট এখন পাওয়া যাচ্ছে দেশের সর্বত্র। বাজারে এর খুচরা মূল্য ১৫০ টাকা।
অনুষ্ঠানে আর এন পাল বলেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবসময় গুণগত মান ও ভোক্তার চাহিদাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক মানের রঙ উৎপাদন করে বাজারজাত করায় অল্প সময়ের মধ্যে ক্রেতাদের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
তিনি বলেন, নতুন নতুন পণ্যের মাধ্যমে ক্রেতাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, রেইনবো পেইন্টস শিগগির দেশের রঙের বাজারে শীর্ষ ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। রেইনবো পেইন্টসের এ নতুন পণ্যটি ব্যবহারের মাধ্যমে ভোক্তারা সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবেন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এ পণ্যটি রপ্তানির পরিকল্পনাও রয়েছে।
রেইনবো পেইন্টসের নির্বাহী পরিচালক কামরুল হাসান বলেন, রেইনবো স্প্রে পেইন্ট অ্যাক্রিলিক ভিত্তিক পেইন্ট। যা ধাতু, কাঠ, কাঁচ, সিরামিক, প্লাস্টারসহ অন্যান্য অনেক পৃষ্ঠে ব্যবহার করা যায়। এ রঙের বৈশিষ্ট্য হলো- এটি দ্রুত শুকিয়ে যায় এবং ব্যবহার করা সহজ। এমনকি যে কোনো ব্যক্তি এটি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় জায়গায় রঙ করতে পারবেন।
এসময় রেইনবো পেইন্টসের জেনারেল ম্যানেজার (রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সালেহ আহম্মদ চৌধুরী, হেড অব অপারেশন সোহেল রানা, হেড অব সেলস শাহজাহান সানী, হেড অব মার্কেটিং প্রণব কুমারসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে স্প্রে পেইন্ট ছাড়াও রেইনবোর ডেকোরেটিভ, ফোর কোটিং, মেরিন, কার, পাউডার কোটিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, হ্যামার, উড কোটিংসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির রঙ রয়েছে বাজারে। সারাদেশে রেইনবো পেইন্টসের ২৮০টি শো রুম ও অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে ক্রেতারা এ পণ্য কিনতে পারছেন বলেও মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে জানানো হয়।