নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘মানে ভালো দামে কম’ স্লোগানে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের টার্গেট করে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে আসছে দেশবাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডে।
প্রাথমিকভাবে চা-পাতা ও লবণ বাজারজাত করার মধ্যমে দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে প্রবেশ করতে যাচ্ছে কোম্পানিটি। এরপর ধীরে ধীরে চাল, ডাল ও তেলসহ প্রায় ৪০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আগামী বছরের মধ্যে বাজারজাত করবে দেশবাংলা।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বারিধারায় একটি কনভেনশন সেন্টারে দেশবাংলার পরিবেশক পরিচিত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দেশবাংলা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো.আবু হানিফ।
এ অনুষ্ঠানে দেশের ২৮ জেলার ডিলাররা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে দেশবাংলার পক্ষ থেকে ডিলারদের কাছে তাদের পণ্যের দাম, মান ও সরবরাহ করার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়া উপস্থিত ডিলাররাও দেশবাংলা কর্তৃপক্ষকে বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
কোম্পানি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। এ অবস্থায় দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনের নাভিশ্বাস অবস্থা। এসব বিষয় সামনে রেখে ক্রেতাদের হাতে কম দামে ভালো মানের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য তুলে দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে দেশবাংলা।
দেশবাংলার পণ্যের বাজারজাতকরণ, দাম ও মান নিয়ে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আবু হানিফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জন্য দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কষ্টে আছে। আমরা এ বিষয় বিবেচনা করে সহনীয় পর্যায়ে দাম রেখে ভালো মানের পণ্য বাজারজাত করতে যাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে দেশবাংলার চা-পাতা ও লবণ ক্রেতারা বাজার থেকে কিনতে পারবেন। ভোক্তারা যেন কম দামে ভালো মানের পণ্য কিনতে পারে এটা আমাদের চাওয়া।
প্রাথমিকভাবে দেশবাংলার নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কোথায় পাওয়া যাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের ৫৬টি জেলা টার্গেট করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। একই সঙ্গে এসব জেলার থানাগুলোতেও আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো পাওয়া যাবে।
মো. আবু হানিফ বলেন, বাজারে ক্রেতারা এখন দেশবাংলার লবণ ও চা-পাতা কিনতে পারবেন। জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশবাংলার চিনিগুড়া চাল কিনতে পারবেন ক্রেতারা। আশা করি, রমজানের আগে দেশবাংলার ১০টি পণ্য ও রমজান মাসের পর আরও ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারজাত করা হবে। আমাদের লক্ষ্য আগামী বছরের মধ্যে দেশবাংলার ৪০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রেতাদের জন্য বাজারে থাকবে।