১ ঘণ্টায় ৮০ কোটি টাকার লেনদেন

নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে (রোববার) ২০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হওয়ার পরদিন (সোমবার) শুরুতে শেয়ারবাজারে লেনদেনে বেশ ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

সেই সঙ্গে মূল্যসূচকে বেশ অস্থিরতা। লেনদেনের শুরুতে মূল্যসূচক বাড়লেও প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় নাম লিখিয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান।

প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। এতে প্রধান মূল্যসূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট। আর লেনদেন হয়েছে ৮০ কোটি টাকার কিছু বেশি।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে মূল্যসূচক ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। সেই সঙ্গে দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি প্রতিষ্ঠান। পাশাপাশি এ বাজারটিতেও লেনদেনে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।

আর দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি। এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) আটকে রয়েছে। ক্রেতা না থাকায় যাদের কাছে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট আছে তারা বিক্রি করতে পারছেন না।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বাড়ার মাধ্যমে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের তুলনায় ১০ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম আধাঘণ্টাজুড়েই সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকে।

তবে প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেন শেষে সূচক নিচের দিকে নামতে থাকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১১টা ২০ মিনিটে ডিএসইতে ২৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৫৮টির। আর ১৫৫টির দাম অপরিবর্তিত।

এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ২৯ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৬ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমেছে। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেন হয়েছে ৭৭ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ৬৩ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত ২৪টির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঢাকাসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে ভূমিকম্প
পরবর্তী নিবন্ধচীনের বদলে ভারতে বিনিয়োগ বাড়ছে