অনুমোদন পেল তিন ব্যাংকের ২১০০ কোটি টাকার বন্ড

নিউজ ডেস্ক : শেয়ারবাজারের তালিকাভুক্ত ৩ ব্যাংকের ২ হাজার ১০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এগুলো হলো—পূবালী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিএসইসির ৮৪৯তম কমিশন সভায় বন্ডগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পূবালী ব্যাংক
ব্যাংকটির ৭০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল, প্রাইভেট প্লেসড, ফ্লোটিং রেট, থার্ড সাব-অর্ডিনেটেড থার্ড বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এর কুপন রেট ৬ থেকে ৯ শতাংশ। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে পূবালী ব্যাংকের টায়ার টু ক্যাপিটাল ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে।

সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক
ব্যাংকটি ৬০০ কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের এসআইবিএল ফোর্থ নন-কনভার্টেবল, আনসিকিউরড, মুদারাবা সাব-অর্ডিনেট ফ্লোটিং রেট বন্ডের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বিএসইসি। উক্ত বন্ডের মুনাফার হার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সর্বশেষ প্রকাশিত ৬ মাস মেয়াদী আমানতের সর্বোচ্চ হারের গড়কে রেফারেন্স রেট হিসেবে বিবেচনা করে তার সঙ্গে ২ শতাংশ মার্জিন যোগ করে ষান্মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারণ করতে হবে। এটি প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। এই বন্ডের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১ কোটি টাকা। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে এসআইবিএলের টায়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করা হবে।

ইসলামী ব্যাংক
ব্যাংকটির প্রস্তাবিত ৭ বছর মেয়াদী ৮০০ কোটি টাকার আইবিবিবিএল ফোর্থ মুদারাবা রেডিমেবল নন-কনভার্টেবল ফ্লোটিং রেট সাব-অর্ডিনেট বন্ড ইস্যুর জন্য সম্মতি দিয়েছে কমিশন। এর কুপন হার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর (বিদেশি ইসলামী ব্যাংক এবং পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরি ইসলামী ব্যাংক ছাড়া) সর্বশেষ প্রকাশিত (বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে) ৬ মাস মেয়াদী আমানতের সর্বোচ্চ হারের গড় রেফারেন্স রেট হিসেবে বিবেচনা করে তার সঙ্গে ২ শতাংশ মার্জিন যোগ করে ষান্মাসিক ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। এর প্রতি ইউনিট অভিহিত মূল্য ১০ লাখ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, কর্পোরেট ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি বরাদ্দ করা হবে। এই বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ উত্তোলন করে ইসলামী ব্যাংক তাদের টায়ার টু মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করবে।

আলোচ্য বন্ডগুলোর ট্রাস্টি হিসেবে আছে ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং এরেঞ্জার হিসেবে আছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। বন্ডটগুলোকে অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) অন্তর্ভুক্ত করার জন্য শর্ত আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত
পরবর্তী নিবন্ধসেরা করদাতা সম্মাননা ও জাতীয় ট্যাক্স কার্ড পেলেন ওয়ালটনের ৪ উদ্যোক্তা-পরিচালক