নিজস্ব প্রতিবেদক : অনিয়মের কারণে স্থগিত হওয়া গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ফের আগামী ৪ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ওইদিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। পূর্বের ন্যায় এ ভোটে সিসি টিভি ক্যামেরা থাকবে।
ইসি সচিব বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে ভোটে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পরিবর্তন করা হয়েছে। ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে এ ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ভোটে সিসি ক্যামেরা থাকবে। আগে যেভাবে ভোট হয়েছে সেভাবেই হবে।
কেন্দ্রে এজেন্ট কারা থাকবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে সিইসি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। যারা এজেন্ট ছিলেন, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের বস্তার মধ্যে যে তালিকা আছে, ওগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উন্মুক্ত করবেন। তারা যেন দায়িত্ব পালন করতে না পারেন সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভোটে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, এগুলো অবশ্যই থাকবে। নির্বাচনে যেহেতু আংশিক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সমস্ত কার্যক্রম বিধি মোতাবেক অনুষ্ঠিত হবে।
কবে থেকে প্রচারণা চালাতে পারবে জানতে চাইলে ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহম্মেদ বলেন, তারিখ ঘোষণার পরপরই প্রচারণায় কোনো বাধা নেই। কাল থেকেই পারবে।
পরে ইসি সচিব বলেন, যেহেতু আমরা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা দিয়েছি। সুতরাং নির্বাচনী প্রচার- প্রচারণা আমাদের বিধান অনুযায়ী শুরু করতে পারবে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ: সিইসি
এর আগে গত ১২ অক্টোবর ওই আসনে উপনির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোটগ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোটগ্রহণ শেষের দেড় ঘণ্টা আগেই তা বন্ধ ঘোষণা করেন সিইসি।
এই আসনে ভোট বন্ধের ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে ইসি। এরপর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটি করে নির্বাচন কমিশন।
ওই নির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তকাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ আইন অনুসারে বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দিয়েছে ইসি।
গত জুলাইয়ে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।