টাকায় এলসি খুলতে অনুমতি চাইলো বিকেএমইএ, বিটিএমএর দ্বিমত

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে ডলার সংকট রয়েছে। এ কারণে অনেক প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। সংকট থাকায় রপ্তানির ডলার পেতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকায় এলসি দায় পরিশোধে অনুমতি চেয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।

তবে বিকেএমইএর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। সংগঠনটির মতে, তারা ডলারে এলসি করে আবার ডলারে বিক্রি করে। টাকায় এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও ডলার সাশ্রয় হবে না। এটা করা হলে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গে মতো হবে।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিকেএমইএ ও বিটিএমএর এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান সংগঠন দুটির নেতারা।

বৈঠক শেষে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ডলার সংকটে আমরা কঠিন সময় পার করছি। পণ্য রপ্তানি করছি কিন্তু অনেক সময় ডলার দিতে দেরি করছে বায়ার। এতে আমরাও নতুন করে এলসি খুলতে ডলার দিতে পারছি না। পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে টাকায় এলসি দায় পরিশোধে অনুমতি চেয়েছি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। সীমিত সময়ের জন্য আমরা এ সুবিধা চেয়েছি।
বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে জানুয়ারির দিকে ডলার সংকট কেটে যাবে। কিন্তু মনে হচ্ছে না যে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ডলার সংকট কেটে যাবে। এমন কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। যদি সংকট না থাকে তাহলে ভালো। সংকট সময়ে আমাদের পণ্য যেন দেশের মধ্যে কেনা হয়, সেই অনুরোধ জানিয়েছি এতে ডলার দেশের মধ্যেই থাকবে।

বিটিএমএ প্রতিনিধি বাদশা মিয়া বলেন, পোশাক মালিকরা সুতা কেনেন ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে। তাদের এক্সপোর্ট পেমেন্ট দিয়েই আমাদের পেমেন্ট দেয়। এখানে টাকায় এলসি খোলার আইন করা হলেও ডলার সাশ্রয়ের কোনো সুযোগ নেই। আমরা কটন ইমপোর্ট করি ডলার দিয়ে আবার পেমেন্ট করিও ডলারে। এটা হলে আমরা কটনের পেমেন্ট কীভাবে দেবো। এটা করা (টাকায় এলি খোলা) হলে নিজের নাক কেটে অপরের যাত্রা ভঙ্গে মতো হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইডিএফ ফাইন্যান্স, ফরেন ফাইন্যান্স, টার্মলোন নিয়েছি। এটা ডলারে পেমেন্ট করতে হয়, তাহলে আমি ডলার কোথায় পাবো। এটা না করে লোকাল সুতা আছে কোটি কোটি টাকার যেগুলো অবিক্রীত রয়েছে, তারা লোকাল সুতা কিনুক, আপাতত এসব এলসি বন্ধ থাকুক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেয়ারবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
পরবর্তী নিবন্ধইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত