নিজস্ব প্রতিবেদক: রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে দাম নিয়ন্ত্রণে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ সুবিধা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
তেলের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়েছে। এনবিআর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো এক চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত-অপরিশোধিত পামতেলের মূল্য কিছুটা হ্রাস পেলেও ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য আনুপাতিক হারে হ্রাস করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি হিসাবেই পূর্বে ১ ডলার সমান ৮৬ টাকার স্থলে বর্তমানে ১ ডলার সমান ১০৬ টাকা বা তার বেশি। এ করণে আসন্ন রমজান ও ঈদুল ফিতরে ভোজ্য তেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পুনরায় বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও সে বিষয়টি উপস্থাপন করে নির্দেশনা দিয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠির সূত্রে জানা যায়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত-অপরিশোধিত পামতেলের মূল্যে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিবেচনা করে স্থানীয় বাজারে ভোজ্য তেলের মূল্যে স্থিতিশীলতা আনতে গত ৪ অক্টোবরে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত সমূদয় মূল্য সংযোজন কর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
পরে একই মেয়াদে গত ১৬ মার্চ অপর এক আদেশে অপরিশোধিত সয়াবিন ও অপরিশোধিত পামতেলের আমদানি পর্যায়ে আরোপনীয় মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ অবস্থায় রমজান ও ঈদুল ফিতরে ভোজ্য তেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পুনরায় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করা হয়।