ইভ্যালি চালু করার রোডম্যাপ চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক : বহুল বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ইভ্যালি আবার চালুর চেষ্টা করছেন সংস্থাটির জেল ফেরত নতুন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। এ বিষয়ে তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। সংস্থাটির কার্যক্রম চালানোর জন্য কী ধরনের পরিকল্পনা করেছে তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অভিহিত করতে বলা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সম্প্রতি ইভ্যালির নতুন চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি তার পরিকল্পনার কথা ওই কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। সে সময় তাকে দ্রুত সংস্থাটির কার্যক্রমের পরিকল্পনা লিখিত জানাতে বলেন।

প্রতারণার দায়ে ইভ্যালির চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পেয়ে তিনি আবার ইভ্যালির কার্যক্রম চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বলা হচ্ছে তাদের ব্যবসায় সুযোগ দিলে গ্রাহকদের পাওনা টাকা ফেরত দিতে পারবেন।

এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স সেলের প্রধান হাফিজুর রহমান বলেন, ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন দেখা করতে এলে তাকে অল্প সময়ের মধ্যে একটি রোডম্যাপ জমা দিতে বলেছি। এরমানে এই নয় যে, তাদের কার্যক্রম চালু করার অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা এবং তা বাস্তবায়নের সক্ষমতা যাচাই করেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জানা গেছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে তিনি ইভ্যালির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও তার স্বামী মোহাম্মদ রাসেলের জামিন নিশ্চিত করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চেয়েছেন। অতিরিক্ত সচিব এবং সেন্ট্রাল ডিজিটাল কমার্স মিনিস্ট্রি সেলের প্রধান বলেছেন, তাদের জামিনের বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা সম্ভব নয়। কারণ এটা সম্পূর্ণ আদালতের বিষয়। ফলে এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব নয়।

সূত্র জানায়, ইভ্যালির বিরুদ্ধে তাদের হাজার হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। সেই অর্থ ফেরত দেওয়ার জন্য শামীমা নাসরীন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চান এবং ইভ্যালি ডট কম কোম্পানির সার্ভার খুলতে সাহায্য কামনা করেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে, বিতর্কিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তাদের গ্রাহকদের দেওয়া বিভিন্ন ডিসকাউন্ট কুপন বাতিল করে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়াই বড় ধরনের ডিসকাউন্ট দিয়ে কুপন অফার করেছিল।

গত বৃহস্পতিবার সাবেক বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতেৃত্বে আদালত নিযুক্ত পাঁচ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ আদালতে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন। এরআগে গত ১০ আগস্ট ইভ্যালি চেয়ারম্যান তাদের অনলাইন ব্যবসা পুনরায় চালু করার জন্য আদালত-নিযুক্ত বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন। তিনি আবেদনে নিজেকে, তার মা এবং তার বোনের স্বামীকে বোর্ডে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এছাড়া, কোম্পানির ৫০ শতাংশ শেয়ারের মধ্যে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে তার মা এবং অন্যান্য আত্মীয়দের নামে ২০ শতাংশ শেয়ার স্থানান্তর করেছেন বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপোশাক রপ্তানিতে বিশ্বে ফের দ্বিতীয় বাংলাদেশ
পরবর্তী নিবন্ধনতুন সিম বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়ে গ্রামীণফোনের আবেদন