নিজস্ব প্রতিবেদক : রপ্তানি পণ্যের মূল্য চূড়ান্ত হওয়ার পরও আমদানিকারকদের ‘মূল্যছাড়’ (ডিসকাউন্ট) দিতে পারবেন চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিকারকরাও।
তৈরি পোশাক খাতের আনুষঙ্গিক পণ্য (এক্সেসরিজ) রপ্তানিকারকরাও ক্রেতাদের এ সুবিধা দিতে পারবেন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক পরিপত্রে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ সুবিধা পেতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে সরকারের ‘ডিসকাউন্ট কমিটির’ কাছে আবেদন করতে হবে উদ্যোক্তাদের। এতদিন শুধু তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা (আরএমজি) এ সুবিধা পাচ্ছিলেন।
রপ্তানিকারকরা জানান, অনেক সময় দেখা যায় পণ্য রপ্তানির পরও আমদানিকারকের দাবি মেটাতে বা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আগের রপ্তানি চুক্তি অনুযায়ী পণ্যের মূল্যে ছাড় দিতে হয় দেশি রপ্তানিকারকদের। এ ছাড়ই রপ্তানি বাণিজ্যে ‘ডিসকাউন্ট’ সুবিধা হিসেবে পরিচিত। পোশাক খাতের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য খাতের উদ্যোক্তারা এখন থেকে এ ছাড় দিতে পারবেন।
এবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিপত্রে বলা হয়েছে, ডিসকাউন্ট সুবিধা দিতে দেশি রপ্তানিকারকদের সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে আবেদন জমা দিতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে।
আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আবেদন যাচাই বাছাই করে দেখবে এ সংক্রান্ত ‘ডিসকাউন্ট কমিটি’। সেই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডিসকাউন্ট সুবিধা দিতে পারবেন উদ্যোক্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি সার্কুলারে জানিয়েছে, এখন থেকে তৈরি পোশাক খাতের জন্য ‘ডিসকাউন্ট’ সুবিধা উদ্ভুত পরিস্থিতি বিবেচনার ভিত্তিতে নেওয়া হবে।
রপ্তানির আগে যেকোনো পণ্যের মূল্য চূড়ান্ত হয়ে যায়। সেই অনুযায়ী পণ্যমূল্য ও পরিমাণের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র জমা দিতে হয় বন্দর, কাস্টমস, ব্যাংক ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে। এই দেখানো দরের বিপরীতে পণ্য তৈরির কাঁচামাল আমদানিতে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি (ঋণপত্র) খুলে থাকেন উদ্যোক্তারা।
পণ্য জাহাজীকরণের পর এই দেখানো মূল্যর সমপরিমাণ অর্থই ফেরত আনতে হয় রপ্তানি আয় হিসেবে। এই মূল্য পরিবর্তনের সুযোগ নেই।