নিউজ ডেস্ক : ‘বিএনপির সদস্যদের পদত্যাগের কারণে জাতীয় সংসদের শূন্য ছয় আসনে উপ-নির্বাচনের তফসিল আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ঘোষণা করা হবে। ’
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, রোববার কমিশন সভা রয়েছে। সে সভায় শূন্য আসনের উপ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। সভা শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারি ছুটি, পাবলিক পরীক্ষা এবং ধর্মীয় উৎসব আছে কিনা, এসব পর্যালোচনা করেই ভোটের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে। সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।
১০ ডিসেম্বর রাজধানীর গোলপবাগ মাঠে আয়োজিত সমাবেশ থেকে বিএনপির সাত সংসদ সদস্য (এমপি) পদত্যাগপত্র ই-মেইলে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানানো হয়। তারা হলেন- আমিনুল ইসলাম (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), হারুনুর রশীদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), জাহিদুর রহমান (ঠাকুরগাঁও-৩), মোশাররফ হোসেন (বগুড়া-৪), জি এম সিরাজ (বগুড়া-৭), আব্দুস সাত্তার (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২) ও রুমিন ফারহানা (সংরক্ষিত নারী আসন)।
এরপর রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা সশরীরে স্পিকারের কাছে ছয়জনের পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে হারুনুর রশীদ ই-মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন বিধায় তার পদত্যাগপত্র না করে ওই দিনই বাকি ছয়জনের শূন্য আসন ঘোষণা দেন স্পিকার।
নির্বাচনে আসতে বিএনপিকে ডাকবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, নির্দিষ্ট কোনো দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাবো না। আমাদের তফসিল ঘোষণা হবে সব দলের জন্য।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, আমরা যতগুলো নির্বাচন করেছি, সুষ্ঠু সুন্দর নিরপেক্ষভাবে করেছি। ইসির দিক থেকে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে এলে সম আচরণ পাবে। আমরা অসম আচরণ করিনি কোনো নির্বাচনে। জাতীয় নির্বাচনসহ সব নির্বাচনে ট্রাস্ট বিল্ডিংয়ের কাজ করব। কোনো দল আস্থা আনবে কিনা সেটা তােদের বিষয়।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে তিনি বলেন, আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা এ বিষয়ে সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত দেবেন।
ইভিএমের নতুন প্রকল্পের বিষয়ে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আমাদের পরিকল্পনা পরিষ্কার। জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা সম্ভব হবে না।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, চাহিদা মোতাবেক যথা সময়ে তথ্য না দেওয়ায় এবং সাড়া না দেওয়ায় ১৪টি দলকে শোকজ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এই সময় অতিক্রম করার পর দেখবে কমিশন। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য জবাব না পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।