সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বেড়েছে লেনদেন

নিউজ ডেস্ক : সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসইতে) প্রধান মূল্যসূচক কমলেও বেড়েছে বাছাই করা সূচক। তবে দাম বাড়ার তুলনায় চারগুণ বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে দাম কমার তালিকায়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে তিনশো কোটি টাকার ওপরে উঠেছে।

প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মূল্যসূচক মিশ্র থাকলেও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি সূচক কমেছে। একই সঙ্গে বাজারটিতেও দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। তবে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ।

এর আগে নতুন বছর ২০২৩ সালের প্রথমদিন গত রোববার (১ জানুয়ারি) সবকটি মূল্যসূচকের পতন হয়। একই সঙ্গে ডিএসইতে দুইশো কোটি টাকার কম লেনদেন হয়। বছরের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবারও সবকটি সূচকের পতন হয়। আর লেনদেন কমে দেড়শো কোটি টাকার নিচে নেমে আসে। এতে ২০২০ সালের ৭ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন লেনদেনের ঘটনা ঘটে।

বছরের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) এসে শেয়ারবাজারে মূল্যসূচক ও লেনদেন উভয় বাড়ে। তবে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ দুইশো কোটি টাকার নিচেই থাকে। পরের কার্যদিবস বুধবারও মূল্যসূচক ও লেনদেন বাড়ে। তবে লেনদেন তিনশো কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করতে পারেনি।

আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস গত বৃহস্পতিবার লেনদেন তিনশো কোটি টাকার ঘরে গেলেও পতন হয় মূল্যসূচকের। ফলে বছরের প্রথম সপ্তাহ হতাশা দিয়েই পার করতে হয় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের। বছরের দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসও বিনিয়োগকারীরা হতাশ হন। মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমে লেনদেনের পরিমাণ।

এ পরিস্থিতিতে আজ সোমবার লেনদেন শুরুর দিকে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। ফলে লেনদেনের ৪ মিনিটের মাথায় ডিএসইর প্রধান সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দরপতনের তালিকা বড় হতে থাকে।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ৩২ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩১টির। আর ১৬৪টির দাম অপরবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৭৬ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ১৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৩৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৮৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৫০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বসুন্ধরা পেপার শেয়ার। কোম্পানিটির ৩০ কোটি ৫২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিস ২০ কোটি ১২ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, নাভানা ফার্মা, আমরা নেটওয়ার্ক, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইস্টার্ন হাউজিং, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট এবং এডিএন টেলিকম।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৪৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৪৫টির এবং ৭৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রে ওয়াসার এমডির ১৪ বাড়ি : ১৫ দিনে প্রতিবেদন চাইলেন হাইকোর্ট
পরবর্তী নিবন্ধ৩২ দিনের মাথায় কারামুক্ত ফখরুল-আব্বাস