নিউজ ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে চারদিন ধরে বয়ে চলছে টানা শৈত্যপ্রবাহ। কমছে তাপমাত্রার পারদ।
রোববার এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে মধ্যবেলাতেও দেখা মিলছে না সূর্যের। চারপাশজুড়ে কুয়াশার দাপটে দিন অন্ধকারাচ্ছন্ন। হিম শীতল বাতাসে শীতের তীব্রতা জানান দিচ্ছে কয়েকগুণে।
এমন আবহাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। যারা বের হচ্ছে তারাও শরীরে বেশ কয়েকটি গরম কাপড় জড়িয়ে শীতের প্রস্তুতি নিয়েই বের হচ্ছেন।
শীতের তীব্রতায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে। টান পড়ছে আয় রোজগারে।
প্রকৃতির এমন বৈরী আচরণে কষ্ট ও দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের। ভোর থেকে কাজের সন্ধানে অপেক্ষা করেও মিলছে না কাজ। ফিরে যেতে হচ্ছে বাড়িতে। সরকারি সহযোগী আশায় চেয়ে আছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, গেল চারদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এছাড়া বাতাসের আদ্রতার পরিমাণ বেশি। দিনের বেলায় সূর্যের উত্তাপ মিলছে না। এতে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। আরও কয়েকদিন এরকম পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে।
গতকাল (০৭ জানুয়ারি) দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগের দিন গত ৬ জানুয়ারি এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল সেদিনের জন্য দেশের সর্বনিম্ম তাপমাত্রা। এদিন দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং তৃতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস নওগাঁর বদলগাছীতে।
এর আগের দিন (০৫ জানুয়ারি) সকাল নয়টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।