পঞ্চগড় প্রতিনিধি : পৌষের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু ও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। কনননে শীত আর অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় জুবুথুবু প্রকৃতি। এছাড়া জেলায় বিরাজ করছে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষরা।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় এখানে রেকর্ড হয় ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা।
এদিকে, কনকনে শীত আর হিমেল বাতাস সহজেই কাবু করছে এখানকার জনজীবন। দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের। রাত থেকে সকাল অবধি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে পথঘাট। বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফলে শ্রমজীবীরা সময়মত কাজে যেতে পারছেন না।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বিকেলের পর থেকে আবারও বাড়ছে শীতের দাপট। বিপাকে যানবাহন চালকরাও। তাদেরকে সকালের দিকেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে হচ্ছে।
শীতের তীব্রতা বাড়ার কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিনই শীতজনিত রোগীরা ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। এ অবস্থায় শিশুদের বাঁশি খাবার পরিহার করা, খাবার ঢেকে রাখা এবং রাতে শিশুদের নিয়ে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলার উপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে। উত্তরদিক থেকে হিমালেয়ের হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্র ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সামনে আরো কয়েক দিন শৈত্যপ্রবাহ থাকবে।