নিউজ ডেস্ক : জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক রেজুলেশন পাস সম্পর্কে জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত। মিশন কার্যালয়ের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়েকালে তিনি নতুন সব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ২১ ডিসেম্বর ২০২২ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে প্রথমবারের মতো ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি’ বিষয়ক একটি রেজুলেশন গৃহীত হয়।
রেজুলেশনটি ১০৯টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে। মিয়ানমারের বিদ্যমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, জরুরি অবস্থা, বন্দি মুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধু খুনিদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, রেজুলেশনটির ওপর ভোট আহ্বান করা হলে তা ১২-০ ভোটে অনুমোদিত হয়। এই প্রস্তাবনার বিপক্ষে কোনো সদস্য ভোট দেয়নি অথবা কোনো স্থায়ী সদস্য ভেটো দেননি। এই রেজুলেশনটি রোহিঙ্গা বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের প্রতি জাতিসংঘের সবচেয়ে ক্ষমতাধর অঙ্গটির শক্তিশালী সমর্থনেরই বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।
শান্তি রক্ষা মিশনের সাফল্য বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জানান, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালেও বাংলাদেশ সেনা ও পুলিশ সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীর সংখ্যা ৭৩৭০ জন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা ক্রমান্বয়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ২ জন ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার, ৪ জন সেক্টর কমান্ডার ও ০১ জন চীফ অব স্টাফ পদে অধিষ্ঠিত। বাংলাদেশ উইমেন পিস অ্যান্ড সিকিউরিটির বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে।