শিগগিরই আসছে সাসটেইনেবল ট্রান্সপারেন্ট পুঁজিবাজার : বিএসইসি চেয়ারম্যান

নিউজ ডেস্ক ধ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, আমরা ১১শ প্রতিষ্ঠান দেখাশুনা করি। প্রত্যহ কাউকে না কাউকে আমরা ডেকে নিয়ে আসি, কথা বলি, সাবধান করি, না মানলে জারিমানা করি। এক্ষেত্রে সুপারভিশনও খুবই দ্রুততার সঙ্গে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ইনশাআল্লাহ খুব শিগগিরই আরো এক সুস্থ, সুন্দর, সাসটেইনেবল, ট্রান্সপারেন্ট পুঁজিবাজার আপনারা দেখতে পাবেন। তবে পুঁজিবাজারে এক হাতের টাকা অন্য হাতে যায়। আর বিনিয়োগকারীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে ট্র্যাপ (ফাঁদ) তৈরি করে গুজব ছড়ানো হয়। তাই গুজবে কান দেওয়া যাবে না।

শনিবার (২১ জানুয়ারি) সিলেট শহরের এমসি কলেজ রোডে অবস্থিত আমান উল্লাহ কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ একাডেমি ফর ক্যাপিটাল মার্কেটস (বিএএসএম) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিনিয়োগ শিক্ষা কনফারেন্স- ২০২৩’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ৷

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, ক্যাপিটাল মার্কেটে জ্ঞানবুদ্ধি থাকা সত্ত্বেও ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু এখানে আপনার সম্পূর্ণ টাকা চলে যাবে না। কিন্তু অন্য সেক্টরে এখনও এ ভয়টি আছে। সুতরাং শিক্ষা, জ্ঞান, বুদ্ধি ব্যববহার করে আপনারা ক্যাপিটাল মার্কেটে বিনিয়োগ করে লাভবান হতে পারেন। এখানে কিন্তু বিনিয়োগ করে হাইয়েস্ট রিটার্ন পাওয়ার অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখানে এতো অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট করার সুযোগ রয়েছে যে, আপনারা বিনিয়োগ করে বেটার রেজাল্ট পেতে পারেন।

তিনি বলেন, আমাদের বিনিয়োগ যদি এখন ৬ থেকে ৭ শতাংশ রিটার্নে কোথাও বিনিয়োগ করেন, তাহলে ইনফ্লেশনের প্রেশারে সেটা আসলে আস্তে আস্তে আপনার টাকার মূল্য কমতে থাকবে। সুতরাং আপনাকে বিনিয়োগ করতে হবে ইনফ্লেশন রেটের উপরে। ইনফ্লেশন রেটের উপরে বিনিয়োগ করলে এ মুহূর্তে সঞ্চয়পত্র একটি জায়গা। সেখানে রেটটা একটু হাই। এছাড়া গভমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বা ট্রেজারি বিলে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। আর এটা কিন্তু ক্যাপিটাল মার্কেট প্রোডাক্টের মধ্যেই রয়েছে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, কর্মসংস্থান হচ্ছে আমাদের এ মুহূর্তের একমাত্র অবজেক্টিভ। সেটার ক্ষেত্রে লংটার্ম ফাইন্যান্সিংয়ের একমাত্র উৎস ক্যাপিটাল মার্কেট। মানি মার্কেটে লংটার্ম ফাইন্যান্সিং নিয়ে বারবার ভুল করে লিকুইডিটি মিস ম্যানেজমেন্ট করে ব্যাংকিং সেক্টরকে আমরা অনেক ক্ষতি করেছি। এ মুহূর্তে সেটা আর করা ঠিক হবে না। তাই আপনাদের সঞ্চয় এক্ষেত্রে প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আজকের আয়োজনে আপনাদের উপস্থিতি আমাদেরকে আরো এনকারেজমেন্ট দিচ্ছে। আমরা এখন জেলায় জেলায় যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে আমরা বিনিয়োগ শিক্ষার গুরুত্ব মানুষকে বুঝানো শুরু করেছি। সেই সঙ্গে আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে আরো বেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে। আশা করি আপনারা আরো বেশি বিনিয়োগ করবেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড (সিএমএসএফ) এর চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ এবং দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স আ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি তাহমিন আহমদ।

প্রথম অধিবেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। এরপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

এছাড়া বিএসইসি’র নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমানের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিএএসএম এর মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, ডিএসই’র পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, সিএসই’র পরিচালক মো. সিদ্দিকুর রহমান এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স আ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং কনফারেন্সের উদ্বোধন
পরবর্তী নিবন্ধইসলামী ব্যাংকের ৩ দিনব্যাপী বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন শুরু