সিলেট স্ট্রাইকার্স-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স লড়াই দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে বিপিএল

ক্রীড়া প্রতিবেদক : বরাবরের মতো মাঠের বাইরের নানা ইস্যু নিয়ে শুরুর আগেই সরগরম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। সাকিব আল হাসান দেশের ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক সবচেয়ে বড় লিগকে ‘যা তা’ বলেছিলেন, একই সুরে তাল মিলিয়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছেও মনে হয়েছে হযবরল।

সবকিছু ছাপিয়ে এই বিতর্কের মাঝেই অবশেষে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিপিএলের নবম আসর। কুয়াশা ঢাকা ঢাকায় হাঁড় হিম করা ঠান্ডা আর শীতল বাতাসের মাঝেই ২২ গজের ৪১ দিনের লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে আজ শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) থেকে।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে নামছে মাশরাফি বিন মুর্তজার সিলেট স্ট্রাইকার্স ও শুভাগত হোমের চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে খেলাটি শুরু হবে।

বিপিএলে সবচেয়ে ব্যর্থ দলের তালিকা করলে সবার আগে উঠে আসবে সিলেটের নাম। তবে দলটির নেতৃত্বে এবার বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি থাকায় অনেকেই দেখছেন ভাগ্যবদলের স্বপ্ন। সঙ্গে আছেন জাতীয় দলের আরেক তারকা ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।

দল গড়াতে সিলেট বেশি নজর দিয়েছে অলরাউন্ডারদের দিকে। টি-টোয়েন্টিতে চারদিকেই অলরাউন্ডারদের জয়জয়কার। থিসারা পেরেরা-ধনঞ্জয়া ডি সিলভা-রায়ান বার্ল কিংবা কলিন অ্যাকারম্যানরা আছেন সিলেটে। তবে ব্যাট হাতে কিছুটা ভুগতে পারে তারা। টপ অর্ডারে থাকা তিন নাম নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসান টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটসম্যান নন। তবে নিজেদের দিনে তারাও আলো ছড়াতে পারেন।

মাশরাফির চাওয়া, ‘সব দলই চায় চ্যাম্পিয়ন হতে। আমরাও অবশ্য তার ব্যতিক্রম কিছু না। এটা তো আর বলে কয়ে হবে না। মাঠে ভালো করতে হবে। ওয়ান বাই ওয়ান ম্যাচ…। কাল যদি ভালো করতে পারি, এটা তো মোমেন্টামের খেলা। শেষের দিকে না তাকিয়ে আমরা শুরু থেকে ভালো করার চেষ্টা করবো।’

এদিকে গত আসরে তারুণ্য নির্ভর দল গড়ে চমকে দিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবারও সেদিকেই ঝোঁক সাগরিকা পাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটির। সরাসরি নিয়েছে তরুণ আফিফ হোসেনকে, ড্রাফট থেকে সবার আগে নিয়েছে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে। শুধু দেশি না, বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে দলটির ঝোঁক ছিল তারুণ্যের দিকে। তাই তো অনেক নামই ভক্তদের কাছে অচেনা-অজানা। নেতৃত্বে আছেন দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার শুভাগত হোম।

দেশি-বিদেশি মিলিয়ে বোলিংয়ের দিকে নজর দিয়েছে চট্টগ্রাম। মেহেদী হাসান রানা-মৃত্যুঞ্জয়-আবু জায়েদ রাহি-তাইজুল ইসলামদের সঙ্গে আছেন পাকিস্তানের পেসার শাহনওয়াজ দাহানি। চট্টগ্রামকে ভোগাতে পারে ব্যাটিং। আগের আসরে উইল জ্যাকস ছিলেন শুরুতেই। এবার তার মতো কেউ নেই। রান তোলার দায়িত্ব আফিফের কাঁধেই বেশি।

চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত বলেন, ‘সবার যে লক্ষ্য আমারও সেই লক্ষ্য। আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই মাঠে নামবো। আমাদের শক্তি হলো টিম স্পিরিট। দল ভারসাম্যপূর্ণ। সেই হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি।’

দুই দলের সবশেষ ৫ বারের দেখায় জয়ের পাল্লা ভারি চট্টগ্রামের। দুই আসর মিলিয়ে তাদের জয় ৪টিতে। সিলেট সবশেষবার জিতে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে একই মাঠেই খেলাটি শুরু হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাইম ব্যাংক ফাউন্ডেশন-এহসান খান আর্কিটেক্টসের সমঝোতা চুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধআমেরিকার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী