টানা শেয়ারবাজারে দরপতন

নিউজ ডেস্ক : দরপতনের বৃত্তে আটকে গেছে দেশের শেয়ারবাজার। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় বুধবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবকটি মূল্যসূচক কমেছে। লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার পাঁচগুণ বেশি প্রতিষ্ঠানের। পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) প্রায় একই অবস্থা। সেখানে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। ফলে এ বাজারটিতেও ডিএসই’র মতো মূল্যসূচক কমেছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।

এদিন শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে। এতে লেনদেন শুরু হতেই ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেনের সময় দুই মিনিট না গড়াতেই একের পর এক প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখাতে থাকে।

ফলে সূচকও নিচের দিকে নামে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বড় হতে থাকে দরপতনের তালিকা। এতে সিংহভাগ প্রতিষ্ঠান দরপতনের তালিকায় নাম লেখানোর পাশাপাশি পতন হয় সবকটি মূল্যসূচকের।

দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে মাত্র ২৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৭টির। আর ১৪৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এতে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২২২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ আগের দিনের তুলনায় ১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৬৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

সবকটি মূল্যসূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪৩১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৪৩৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে সোনালী পেপারের শেয়ার। কোম্পানিটির ৩৭ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জেনেক্স ইনফোসিসের ২২ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০ কোটি ৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে শাহিনপুকুর সিরামিকস।

এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, বাংলাদেশ ল্যাম্প, সি পার্ল বিচ রিসোর্ট, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার, আমরা নেটওয়ার্ক, জেমিনি সি ফুড এবং ওরিয়ন ইনফিউশন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ২৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। লেনদেন অংশ নেওয়া ১৩২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬০টির এবং ৫৫টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধওয়ালটনে বসন্ত বরণ
পরবর্তী নিবন্ধতিস্তা চুক্তির জন্য ভারতকে আহ্বান জানিয়েছি: পররাষ্ট্রসচিব