নিউজ ডেস্ক : করোনার প্রভাব ও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স অর্জন করেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ২০২২ সালে দেশটির প্রবাসী আয় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্পর্শ করেছে, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগে বিশ্বের অন্য কোনো দেশ এই পরিমাণ রেমিট্যান্স আয় করতে পারেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্স সংক্রান্ত ডিসেম্বর প্রান্তিকের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে সবার উপরে রয়েছে ভারত। দেশটির ২০২২ সালে প্রবাসী আয় ১০০ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপিতে রেমিট্যান্সের অবদান দুই দশমিক ৯ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত গত বেশ কয়েক বছর ধরে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে দক্ষ কর্মী পাঠাচ্ছে। এসব কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দেশটির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর। ২০২১ সালেও ভারত রেকর্ড রেমিট্যান্স অর্জন করে। তাদের কর্মীরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থেকে ৮৯ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে দেশে পাঠান।
দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবাসী আয়ে ভারতের পরই পাকিস্তানের অবস্থান। ২০২২ সালে পাকিস্তান রেমিট্যান্স পেয়েছে ২৯ বিলিয়ন ডলার। এই অংক বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া দেশটির জিডিপিতে প্রবাসী আয়ের অবদান ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রবাসী আয়ে ভারত ও পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। ২০২২ সালে বাংলাদেশের প্রবাসীরা ২১ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের এই আয় বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ২ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রবাসী আয় দেশের মোট জিডিপিতে অবদান রাখছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১ সালে দুই হাজার ২০৭ কোটি মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা।
দক্ষিণ এশিয়ায় রেমিট্যান্স আহরণে অন্য দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানের আছে নেপাল। দেশটির প্রবাসী আয় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের ১ দশমিক ০৭ শতাংশ। দেশটির পরবশই আয় তাদের মোট জিডিপির ২১ দশমিক ৮ শতাংশ।
পঞ্চম অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ২০২২ সালে তাদের আয় ৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, যা বিশ্বের মোট রেমিট্যান্সের দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং তাদের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। একই সময়ে আফগানিস্তানের প্রবাসী আয় দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার, যা তাদের মোট জিডিপির ২ শতাংশ এবং ভুটানের প্রবাসী আয় দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার, যা দেশটির মোট জিডিপির ২ দশমিক ১ শতাংশ।