বিভিন্ন দেশে পূজা-পার্বণে দাম কমে, আমাদের বাড়ে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পৃথিবীর সব দেশে দেখতে পাই যখন পূজা-পার্বণ, উৎসব হয় তখন পণ্যের দাম কমে। আমাদের দেশে যখন উৎসব হয় তখন পণ্যের দাম বাড়ে। যখন আমাদের কোনো উৎসব হবে, সেটি ঈদ-রোজা-পূজা যেটিই হোক তখন পণ্যের দাম কমানোর মানসিকতা ব্যবসায়ীরা মধ্যে রাখা উচিত।

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ৩০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যারা মজুত করবে তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এফবিসিসিআই ও বণিক সমিতি যেন ব্যবসায়ীদের ডেকে বলে, যারা পণ্যের দাম কমাবে তাদের ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দেওয়া হবে। প্রয়োজনে পুরস্কৃত করা যেতে পারে। তাহলে আমাদের দেশে সে সংস্কৃতিটা চালু হবে।

তিনি বলেন, গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা করেছে এবং সব ব্যবসায়ীর সমৃদ্ধি হয়েছে। দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে। সেটি অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনা অব্যাহতভাবে যদি দেশ পরিচালনা করতে পারেন, তাহলে দেশকে আমরা স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে পারব। অন্যথায় আমরা পারব না।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যখন সারাদেশে মানুষের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছিল, তখন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে মুরগি, গরু-ছাগলের ওপর একই বোমা নিক্ষেপ করা হয়। এটার কারণ হচ্ছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট হচ্ছে বাংলাদেশের ইকোনমিক লাইফলাইন, সেটাকে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। তখন আমাদের সরকার সমস্ত প্রোটেকশন দিয়ে রপ্তানিসহ সবকিছু চালু রেখেছিল। তারা যদি আবার সুযোগ পায় দেশটাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেবে।

তিনি আরও বলেন, আজকে দেশ সমৃদ্ধ হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে সমৃদ্ধি আসছে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখন বিদেশে বিনিয়োগ করছে। এটি শেখ হাসিনা না হলে হত না। এখানে যদি আবার অন্য সরকার আসে এগুলো সব বন্ধ হয়ে যাবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও এগিয়ে যাওয়া নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব প্রশংসা করে, বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রশংসা করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট আমাদের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে যে বার্তা পাঠিয়েছেন সেখানে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য প্রশংসা করেছেন। আজকের সমগ্র বিশ্ব প্রশংসা করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের বিরোধী দল বিএনপিসহ তার দোসরেরা প্রশংসা করতে পারে না।

তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা পদ্মা সেতু দিয়ে ওপারে গিয়ে জনসভা করে বলে, দেশে কোনো উন্নয়ন হয়নি। অথচ তারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়েই গেলেন। ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে গিয়ে বলেন কিছুই হয়নি। যাদের চোখ থাকতে অন্ধ, কান থাকতে বধির তাদের কেউ আলোও দিতে পারবে না, শ্রবণশক্তিও দিতে পারবে না। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এমএ লতিফ এমপি, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, বাণিজ্য মেলা কমিটির চেয়ারম্যান একেএম আক্তার হোসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানে প্রতি লিটার ডিজেল ২৮০ রুপি
পরবর্তী নিবন্ধগুরুত্ব বিবেচনায় ব্যাংকিং ডিপ্লোমা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে: গভর্নর