নিউজ ডেস্ক : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মশার উৎপাত থেকে রাজধানীবাসীকে রক্ষা করতে এতদিন যে পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়েছিল তা ভুল। তবে সঠিক পদ্ধতি প্রয়োগে আরও সময় লাগবে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরের অভিজ্ঞতা জানাতে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রশ্নোত্তর পর্বে মেয়র এ কথা বলেন।
আতিকুল ইসলাম বলেন, সঠিক পদ্ধতিতে মশা নিধনে যেতে সময় লাগবে। এখন যদি মশা নিধন পদ্ধতি বন্ধ করে দেওয়া হয়, মশা উৎপাত বাড়বে। তাই আপাতত একই নিয়মে মশা নিধন করা হবে।
মেয়র বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের জনবল প্রয়োজন। জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমাদের ল্যাভ প্রতিষ্ঠায় কাজ চলছে। এছাড়াও প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ল্যাবগুলো কাজে লাগানো যায় কিনা চিন্তা করা হচ্ছে।
মেয়র বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডভিত্তিক মশা নিধনে কাজ করতে হবে। এজন্য জনবল প্রয়োজন। এরপর এলাকাভিত্তিক মশার ধরন শনাক্ত করে আলাদা আলাদা ওষুধ প্রয়োগ করা হবে।
এরআগে ২০ সদস্য বিশিষ্ট দল সফরে যায় যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার মিয়ামিতে। এ সফরে আরও ছিলেন ৫ গণমাধ্যম কর্মী।
সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে মশা নিধন কার্যক্রমের নানা দিক শিখিয়ে দেন মিয়ামি ডেড কাউন্টি কর্তৃপক্ষের বিশেষজ্ঞরা।
সেখানে মেয়র আতিকুল ইসলামসহ তার প্রতিনিধি দলকে শেখানো হয়, প্রথমে মশার প্রজননস্থল খুঁজে বের করতে হবে। খুঁজে খুঁজে মশার প্রজননস্থল থেকে পূর্ণাঙ্গ মশা ও মশার ডিম সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষাগার বিশেষজ্ঞরা মশা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে প্রজাতি নির্ধারণ করে দেন।
পরে মশার প্রজাতি অনুযায়ী পরিমিত পরিমাণে ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিধনের কাজ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ফগিংকে গুরুত্ব না দিয়ে লার্ভিসাইডিংকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে মশক নিয়ন্ত্রণব্যবস্থার মোট বাজেটের ৮০ শতাংশই খরচ হয় লার্ভিসাইডিংয়ে।
বিষয়টি জানার পর মেয়র যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ঘোষণা দেন, দেশে ফিরে অর্থ অপচয় না করে লার্ভিসাইডিংয়ে (লার্ভা নিধনে ওষুধ ছিটানো) মনোযোগী হবেন।