নিউজ ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পাথর আমদানি কমেছে। এদিকে আগের আমদানি করা পাথর নিয়ে বিপাকে আমদানি কারকরা। পাথর নিয়মিত বিক্রি না হওয়ায় পানামা পোর্টের ভেতরে কয়েক হাজার টন পাথর পড়ে আছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি অর্থ বছরের গেল ছয় মাসে আড়াই লাখ পাথর আমদানি হয়েছে। প্রতিদিন ৬০-৭০ ট্রাকে করে পাথর আমদানি করা হত। এখন ৩-৫ ট্রাকে নেমে এসেছে। আমদানি করা বিভিন্ন ধরনের পাথর বিক্রয় হত চার হাজার ২০০ টাকা থেকে চার হাজার ৪০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এখন বিক্রয় হচ্ছে চার হাজার ১০০ থেকে চার হাজার ২০০ টাকা। এছাড়াও অন্য পাথরেও দাম কমেছে টনপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা। এতে অনেক লোকশান গুনতে হচ্ছে আমদানি কারকদের।
আমদানিকারক আলমাস জানায়, দেশের বিভিন্ন স্থানের বড় বড় প্রকল্পগুলো এখন বন্ধ হয়েছে। এর কারণে পার্টিদের পাথর দিলে তারা ঠিকমত টাকাও পরিষদ করতে পারছেন না। এর কারণে আমরা বাকি বিক্রয় বন্ধ করে দিয়েছি।
পাথর বিক্রয় কম হচ্ছে বলে শ্রমিক আবুল হোসেন বলেন, আমাদের বন্দরের ভেতর এখন কয়েক হাজার টন পাথরের স্তূপ হয়েছে। আগে যেখানে প্রতিদিন পাঁচ থেকে দশগাড়ি পাথর বিক্রয় হচ্ছিল এখন সেখানে দুদিন পর পর এক গাড়ি বিক্রয় হচ্ছে। বিক্রি কম হওয়ায় আমাদের রোজগার অনেকটা কমে গেছে। এতে পরিবার নিয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি।
আমদানি কারক শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, দেশের মেগাপ্রকল্পের চুক্তি মোতাবেক তারা যদি পাথরগুলো ক্রয় করে তাহলে আমাদের এখানে বিক্রয় বাড়বে ও আমদানি বাড়বে। এতে করে বন্দরের ভেতর পাথরের স্তূপ জমবে না।
হিলি আমদানি রপ্তানি কারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ হারুন বলেন, আদানিকৃত পাথরের বেচাবিক্রি খুব একটা ভালো না। অবিক্রিত পাথর জমা থাকায় আমাদের লোকশান গুনতে হচ্ছে। আশাকরি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে।
হিলি পানামা পোর্টলিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, আগে এ বন্দর দিয়ে গড়ে ৭০-৮০ ট্রাক পাথর আমদানি হত। কিন্তু এখন সেটি ৫-৭ গাড়িতে নেমে এসেছে। আমদানি কমায় সরকারের রাজস্ব কমে গেছে।