নিজস্ব প্রতিবেদক: শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার থাকায় বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির জন্য চীন একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্যস্থল বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং চীনের জন্য বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা উভয়পক্ষের জন্য উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি করবে।
শনিবার (৪ মার্চ) বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সিসিপিআইটি-টেক্স এর সাব-কাউন্সিল অব টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রির ভাইস চেয়ারম্যান ঝাং তাও’র সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পোশাক ও বস্ত্র খাতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে বাংলাদেশ ও চীন। এ অবস্থায় চীন বাংলাদেশের নন-কটন পোশাকে স্থানান্তরকে সহযোগিতা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি ফারুক হাসান।
পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা চীনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখি। কারণ দেশটির বাংলাদেশের কটন থেকে নন-কটন এবং হাই-ভ্যালুড পোশাকে স্থানান্তরিত হওয়াকে সহযোগিতা করার মতো শক্তিশালী টেক্সটাইল শিল্প এবং অন্যান্য কাঁচামাল শিল্প রয়েছে।
বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে এবং সামনের সুযোগগুলোকে কাজে লাগাতে উভয়পক্ষ কীভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন তারা। ম্যান-মেড ফাইবার, ডাইস, ক্যামিক্যালস, টেক্সটাইল যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য কাঁচামালের জন্য চীন কীভাবে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পারে, সে বিষয় নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
তিনি দুই দেশের পোশাক ও টেক্সটাইল ব্যবসায়ীদের কাছাকাছি আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। যাতে করে তারা তাদের পারস্পরিক চাহিদা এবং চাহিদা পূরণের উপায়গুলো চিহ্নিত করতে পারে।
বিজিএমইএ’র সঙ্গে সিসিপিআইটি-টেক্স’কে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আ্বোন জানিয়ে ফারুক হাসান বলেন, এতে করে বাংলাদেশ এবং চীন অবশ্যই উপকৃত হবে।