নিউজ ডেস্ক : আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে যাচ্ছে চট্টগ্রামের মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর। ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে এই বন্দরে ভিড়বে ইন্দোনেশিয়া থেকে ৮০ হাজার টন কয়লা নিয়ে আসা জাহাজ। এর আগে এত বড় জাহাজ বাংলাদেশের কোনো বন্দরে আর ভিড়েনি।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়িতে নির্মাণাধীন বন্দরে সর্বোচ্চ এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ার সক্ষমতা রয়েছে। আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহনের পরিভাষায় এ ধরনের জাহাজকে বলা হয় ‘ক্যাপসাইজ’। মাতারবাড়ি বন্দরের পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই প্যানাম্যাক্স ক্যাটাগরির বিশাল এই কয়লাবাহী জাহাজটি ভেড়ানো হচ্ছে এখানে অবস্থিত সুপার ক্লিটিক্যাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাঁচামাল আমদানি করে।
এর আগে অবশ্য বিভিন্ন ধরনের ১০০টিরও বেশি জাহাজ ভেড়ানো হয়েছিল মাতারবাড়িতে। সেসব ছোট জাহাজে নিয়ে আসা হয় উন্নয়ন স্থাপনার নির্মাণসামগ্রী।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, “আগামী ২৬ মার্চ এখানে ৮০ হাজার মেট্রিক টনের একটি জাহাজ আসবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো বন্দরে এতো বড় ধারণ ক্ষমতার জাহাজ এখানে ঢুকবে।”
সাধারণত চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন, আর বঙ্গোপসাগরের বহির্নোঙরে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানো হত। মাতারবাড়ি বন্দরের গভীরতা অর্থাৎ ড্রাফট ১৮ মিটার হওয়ায় অনায়াসে ভিড়বে এই ধরনের বিশাল আকৃতির জাহাজ। এ নিয়ে ব্যবসায়ী নেতাদেরও ব্যাপক উৎসাহ।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ডাক দিয়েছিলেন ২৬শে মার্চ, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গণজাগরণে সেই ২৬শে মার্চে আসছে ৮০ হাজার টনের জাহাজ আসছে। এটা একটা ইতিহাস।”
স্বাধীনতার ৫১ বছর পর এত বিপুল পরিমাণ পণ্যবাহী জাহাজ ভিড়িয়ে আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্য ও বন্দর ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ দেওয়ার রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।