হজের নিবন্ধন শেষ হচ্ছে আজ

নিউজ ডেস্ক : চলতি বছর হজে যেতে নিবন্ধন শেষ হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ)। বৃহস্পতিবার সকাল পৌঁনে ১০টা পর্যন্ত মোট নিবন্ধিত হয়েছেন ৯৯ হাজার ২৭৬ জন। কোটা পূরণে এখনো ২৭ হাজার ৯২২ জন বাকি রয়েছে।

এর আগে তিন দফা হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়। তবে হজের খরচ বেশি হওয়ায় এবার মানুষের আগ্রহ ছিল কম। নিবন্ধনের সংখ্যা বেড়েছে খুবই ধীরগতিতে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।

সকাল পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ হাজার ৫১৫ জন ও বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে ৮৯ হাজার ৭৬১ জন নিবন্ধিত হয়েছেন।

চলতি বছর হজে যেতে হজযাত্রী নিবন্ধন শুরু হয় গত ৮ ফেব্রুয়ারি। তখন বলা হয়েছিল সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের ক্রমিক ৪২ হাজার ২৯৩ পর্যন্ত এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক ৭ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।

২৩ ফেব্রুয়ারি নিবন্ধনের শেষ সময় থাকলেও তা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। তবে কোটার বিপরীতে খুবই কম সংখ্যক হজযাত্রী নিবন্ধিত হন। পরে নিবন্ধনের সময় ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সেই সময়েও কোটার অর্ধেকেরও কম হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়। সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সর্বশেষ নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে ধর্ম মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সীমা আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চূড়ান্ত ও শেষবারের মতো বর্ধিত করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৪৫ হাজার ৬০৫ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধনের সর্বশেষ ক্রমিক পূর্বের সিরিয়াল বহাল রেখে ৮ লাখ ৮৬ হাজার ১৯০ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হলো।

কোটা পূর্ণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধন সার্ভার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। নিবন্ধনের সময় আর বৃদ্ধি করা হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এতে আরও বলা হয়, নিবন্ধন ভাউচার প্রস্তুতের পরবর্তী দু-কার্যদিবসের মধ্যে অর্থ ব্যাংকে জমা দিয়ে নিবন্ধন নিশ্চিত না করলে ওই ভাউচার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল হয়ে যাবে। আগামী ১৬ মার্চ হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরেও প্রস্তুতকৃত ভাউচারের অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখাগুলো খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো।

চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় একটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ পালনের নিয়ম রাখা হয়েছে। এবার সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ হবে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এর সঙ্গে যুক্ত হবে কোরবানির খরচ।

গত বছর সরকারিভাবে দুটি প্যাকেজের মাধ্যমে হজ হয়। প্যাকেজ-১ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে ৯৬ হাজার ৬৭৮ টাকা, প্যাকেজ-২ এর ক্ষেত্রে এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৬১ হাজার ৮৬৮ টাকা। বেসরকারিভাবে হজ পালনে গত বছরের তুলনায় এবার খরচ বেড়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৮৭৪ টাকা। এবারের হজে যাওয়ার খরচ অনেকেরই সাধ্যের বাইরে চলে গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআপাতত চাকরি ফেরত পাবেন না শরীফ : আপিল বিভাগ
পরবর্তী নিবন্ধওয়ালটনের সহায়তা পেলো সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত কিস্তি ক্রেতার পরিবার