পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : রমজানে দেশে খাদ্য পণ্যের যথেষ্ট মজুদ থাকার পরেও যারা মূল্য বাড়াচ্ছেন তাদের গণবিরোধী অখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেনে, ‘পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই।’

শনিবার (২৫ মার্চ) দুপুরে মিন্টোরোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য যে রমজান আসলে কিংবা কোনো উৎসব আসলে আমাদের দেশের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেন। বিভিন্ন পূজা পর্বনের সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত মুনাফা করার জন্য পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেন তারা। রমজানকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমদানি নির্ভর পণ্য থেকে শুরু করে যেগুলো উৎপাদন নির্ভর পণ্য সেগুলোর যাতে সরবরাহ সঠিক থাকে সে ব্যবস্থা করেছেন। খাদ্য পণ্যের মজুত এখন যথেষ্ট্য নয় বরং প্রয়োজনের চেয়ে বেশি আছে।

রমজানের চাহিদার চেয়ে বেশি পণ্য মজুত আছে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের খাদ্য নীতিতে বলা আছে দেশে যদি ১০ লাখ টন খাদ্যপণ্য মজুত থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ। খাদ্য নিরাপত্তার জন্য মুটামুটি যথেষ্ট। কিন্তু বর্তমানে ২০ লাখ টনের চেয়ে বেশি খাদ্য শস্য চাল এবং গম গুদামে মজুত রয়েছে। ভোগ্য পণ্যরে যথেষ্ট মজুদ রয়েছে, কোনো কোনো পণ্য চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত মজুত রয়েছে। এরপরেও দেখা যাচ্ছে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মজুতদাররা এই রমজানের সুযোগ নিয়ে পণ্যের মূল্য বাড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়েছে এটা আপনারা দেখেছেন। বাজারে মনিটর করা হচ্ছে।

গণমাধ্যমকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, কেউ যাতে সঙ্কট তৈরি করতে না পারে এবং অতিরিক্ত মুনাফা করতে যেন পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দিতে না পারে এই ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেরও একটা ভূমিকা আছে বলে আমি মনে করি। যেহেতু গণমাধ্যম সমস্ত পণ্যের মজুদ যথেষ্ট রয়েছে এটা যানে, যাতে কেউ বাড়াতে না পারে সেটির বিরুদ্ধে রিপোর্টিং হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিতে পারবে না। আপনারা জানেন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সম্স্ত বিশ্বে পণ্যের মূল্য বেড়েছে। শুধু পণ্যের মূল্য বেড়েছে তাই নয়, ইউরোপে পণ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের সময় এক বছরের বেশি হয়ে গেছে, বাংলাদেশে কোনো পণ্যের সঙ্কট তৈরি হয়নি। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ইউরোপের দেশগুলোর মত বা অন্যান্য দেশের মত পণ্যের সঙ্কট কখনও বৃদ্ধি পায়নি। কখনও সংকট তৈরি হয়নি।

রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতেই বিএনপি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, রমজান মাসে অতীতে আন্দোলনের ঘোষনা আমরা কখনো দেখিনি। কারণ সবাই রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকে। রমজানে ইফতার পার্টি হয়, সেখানে কথাবার্তা হয়, সেগুলো হয়ে থাকে এবং অন্যান্য কর্মসূচি হয়। বিএনপির কর্মসূচি দেখে মনে হচ্ছে তারা রমজানের পবিত্রতাটাও নষ্ট করতে চায়। রমজানেও তারা মানুষকে স্বস্তি দিতে চায় না। রমজানেও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা তারা করছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএআইইউবি-চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের বিমাচুক্তি স্বাক্ষরিত
পরবর্তী নিবন্ধরাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিধ্বস্ত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ পেল ২৩৭ কোটি টাকা