নিউজ ডেস্ক : দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ প্রাণ-আরএফএল এর চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমাদের ওভার অল রপ্তানি বাড়াতে হবে, না বাড়ালে সবাইকে কষ্ট পাবে। রপ্তানি বাড়াতে নানা উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমানে আমরা যারা এসএমসি (সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি) সেক্টর নিয়ে কাজ করছি। আমরা আমাদের পণ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে চায়।
বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে বেসরকারি খাতের প্রত্যাশা’ শীর্ষক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
শিল্পে বন্ড সুবিধার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আহসান খান চৌধুরী বলেন, আমাদের যেসব পণ্য প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে পারি তার মধ্যে অন্যতম লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প। আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোতে বিনিয়োগ করতে চায়, রপ্তানি করতে চায়। আমাদের ইলেকট্রনিক শিল্পের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আছে, যেগুলোর বন্ড সুবিধা পাচ্ছি না। এগুলো বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাতে হলে ওভার অল ট্যাক্স পদ্ধতিতে সহজ করতে হবে। সব শিল্পকে তো বন্ড দেওয়া যাবে না, বন্ড যদি না দেওয়া যায় তবে আমাদের রপ্তানির গতি কিন্তু বাড়বে না।’
রপ্তানি বাড়ানোর কথা জানিয়ে এ শিল্পোদ্যোক্তা বলেন, আমাদের রপ্তানি প্রচুর বাড়াতে হবে। এ জন্য ফার্নিচার শিল্প, ইলেকট্রনিক্স শিল্প ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প থেকে ইনকাম রেট বাড়াতে হবে। তবে, তার আগে ব্যবসার সামগ্রিক জিনিসগুলোকে সহজ করতে হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষ, এ ধরনের শিল্প গড়ে তুললে আরও ভালো। আমাদের উত্তরবঙ্গে নাকি বন্ড দেওয়া যায় না। আমরা নাকি বর্ডারের অনেক কাছে অবস্থান করি। আমরা উত্তরবঙ্গে কাজ করছি, প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছি। ওভার অল যদি আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা যায়, যে আমাদের রপ্তানি বাড়াতে হবে তাহলে বিষয়গুলো সহজ হবে। আমরা মনে করি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নতুন করে ট্যাক্স ইনক্লুডের চিন্তা করলে হবে না।’
দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনি করি- ব্যবসা সহজ করেন, যৌক্তিক করেন, চাঙা করেন, চাঙ্গা করার চিন্তা করেন। কারণ এগুলো না করলে রপ্তানি বাড়বে না। রপ্তানি না বাড়লে সবারই কষ্ট হবে। রপ্তানিকে বহুমুখীকরণের জন্য সুযোগ-সুবিধা যদি না দেওয়া হয় তবে কঠিন হবে। ওভারঅল একটু যদি উদারনীতি আমরা ফলো করি, মানুষের জন্য ব্যবসা সহজ করি, তাহলে সবার জন্যই ভালো। আমরা কৃষি নিয়ে কাজ করি আমাদের চালের ওপর যদি ৭ শতাংশ বিবিধ কর (এআইটি ও ভ্যাট) কর্তন করতে হয়, তরমুজের ওপর যদি ৩ শতাংশ কর্তন করতে হয়, তাহলে আমাদের তরমুজ ব্যবসায়ীদের জন্য কষ্ট হবে। এআইটি ব্যবসা যদি সহজ করা যায় এবং আরও কৃষিনির্ভর শিল্প গড়ে তোলা যায় তাহলে আমার মনে হয় বাজার আরও চাঙা হবে এবং আমরা আরও এগিয়ে যাবো।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় আরও অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম, ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও একে আজাদ প্রমুখ।