নিজস্ব প্রতিবেদক : শিক্ষার্থীদের রাজস্ব সম্পর্কে সচেতন করে করজাল বাড়ানোর কথা ভাবছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় রাজস্ব ভবনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় শিক্ষার্থীদের জন্য রাজস্বের বিভিন্ন বিষয়ের তথ্যসম্বলিত জাদুঘর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন তিনি।
এদিন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, এসএমই ফাউন্ডেশন, স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানি, বিআইডিএস, পিডব্লিউসি ও আরনেস্ট অ্যান্ড ইয়ং অ্যাডভাইসরি লিমিটেড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাজেট প্রস্তাবনা পেশ করেন।
সবার প্রস্তাব শুনে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, করজাল বাড়াতে আইডিয়া আমার মাথায় আছে। সেটা নিয়ে হয়তো কাজ করবো। রাজস্ব নিয়ে তরুণ প্রজন্মকে এডুকেট করার চেষ্টা করবো, যারা ট্যাক্স দেয় না। তাদের সচেতন করতে সহজ একটা পদ্ধতি, একটা মিউজিয়াম করতে চাই।
তিনি বলেন, জাদুঘরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষকদের দাওয়াত দেবো। তারা এখানে ঘুরবে, ফিরবে ও শিখবে। ইনকাম ট্যাক্স কী, ট্যাক্স কী, ভ্যাট কী সেটা নিয়ে সরকার কী করে, কার সেটা দেওয়া উচিত, এনবিআর কীভাবে সেটা সংগ্রহ করে এগুলো সম্পর্কে তাদের ধারণা হবে। এবং এই ইয়ং গ্রুপ্টার মধ্যে ভ্যাট, ট্যাক্সের তথ্য আদান-প্রদান করতে চাই। আমি এটার ফিডব্যাক দেখেছি ছোট বাচ্চারা যত সহজে বোঝে ও যত সহজে তার বাবা-মাকে কাবু করতে পারে অন্যকোনো ওয়েতে তারা কাবু হয় না।
অনেকেই কর প্রদান করার যোগ্য কিন্তু তাদের ট্যাক্সের কথা বললে বিরক্তি প্রকাশ করে উল্লেখ করে মুনিম বলেন, বিভিন্নভাবে করজাল বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে তাদের অ্যানালাইসিসের মধ্যে আনছি।
স্নেহাশিস মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানি অনলাইন গেমিং থেকে প্রাপ্ত আয় আয়করের আওতায় আনার প্রস্তাব করেন। এছাড়া শিল্পভিত্তিক ব্যবসার আয়-ব্যয়ের প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে উৎসে কর কর্তনের হার যৌক্তিক করা, ইলেকট্রনিকস ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) ব্যবহারে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করেন।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইএফডি প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বেইলি রোডের একটি দোকানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ইএফডির চালানপত্র তাকে সংগ্রহ করতে হয়েছে। এখনো মানুষ কেনাকাটার পর ইনভয়েস সংগ্রহ করার বিষয়ে অভ্যস্ত হতে পারেনি।
আমদানি করা ২৮ ধরনের পণ্যে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিপিডি। তামাক পণ্যে কর বৃদ্ধি ও করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।