নিউজ ডেস্ক : সৌদি আরবের আসির প্রদেশে বাস উল্টে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। এর মধ্যে ১৩ জন বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রী ছিল। জেদ্দা থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পথে বাসটি গভীর খাদে পড়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৩ বাংলাদেশি হলেন- নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার শাহীদুল ইসলাম; কুমিল্লার মুরাদনগরের মামুন মিয়া ও রাসেল মোল্লা; নোয়াখালীর মো. হেলাল; লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন; কক্সবাজারের মো. আসিফ ও মোহাম্মদ হোসেন; গাজীপুরের টঙ্গীর মো. ইমাম হোসাইন রনি; চাঁদপুরের রুকু মিয়া; কক্সবাজার মহেশখালীর সিফাত উল্লাহ, কুমিল্লার গিয়াস হামিদ, যশোরের মোহাম্মদ নাজমুল ও রনি।
জানা গেছে, বাসে বাংলাদেশি যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৫ জন এবং এদের মধ্যে ১৭ জন আহতাবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে। ১৩ জন নিহত ছাড়াও এখনও পর্যন্ত আরও ৫ জন বাংলাদেশি নিখোঁজ রয়েছে।
চিকিৎসাধীন বাংলাদেশিরা হলেন- চট্টগ্রাম সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলার আল আমিন ও বুরহান উদ্দিন, লক্ষ্মীপুরের মিনহাজ ও রিয়াজ, চাঁদপুর কচুয়ার জুয়েল, মাগুরার আফ্রিদি মোল্লা ও মিজানুর রহমান, নোয়াখালীর মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, কুমিল্লার ইয়ার হোসাইন ও জাহিদুল ইসলাম ও যশোরের মোশাররফ হোসাইন। এছাড়া চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন আব্দুল হাই, রানা, সেলিম, দেলোয়ার হোসাইন, হোসাইন আলী ও কুদ্দস।
সোমবার (২৭ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহযাত্রীদের বহনকারী ওই বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকার একটি সেতুর সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উলটে যায় ও একপর্যায়ে সেটিতে আগুন ধরে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বাসের আরোহীরা ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় যাচ্ছিলেন। বাসের ব্রেক কাজ না করায় একটি সেতুর ওপর উল্টে গিয়ে আগুন ধরে যায়। এ সময় ওই বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।