নিউজ ডেস্ক : জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) আজ ২৪১২ দশমিক ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ ব্যয় বাড়ানোর একটি সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করেছে এবং এই প্রকল্পের সময়সীমা ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
রাজধানীর শেরে বাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় অন্যান্যের মধ্যে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সাচিব ড. শাহনাজ আরেফিন, আইএমইডির সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা পদ্মা সেতুর ব্যয় বৃদ্ধিসহ মোট ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এসব বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১৯ হাজার ৫৯৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬ হাজার ২৬০ কোটি ৭২ লাখ টাকা, বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১৩ হাজার ২০৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘দু’টি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হলেও তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প দুটি হলো-যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত প্রকল্প। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন অবকাঠামো নির্মাণ না করে যে অবকাঠামো আছে সেগুলোর কার্যকর ব্যবহার করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী একনেক সভায় আরও বলেন, দেশের কারাগারগুলোতে ভার্চুয়াল কোর্ট স্থান করতে হবে। এতে আসামিদের নিয়ে যাতায়াতে হয়রানি ও অতিরিক্ত খরচ কমবে। সেইসঙ্গে নিরাপত্তাও নিশ্চিত হবে।’
একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলো হলো- প্রোগ্রাম ফর এগ্রিকালচার রুর্যাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনিউরশিপস অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ। এছাড়াও রয়েছে- বিল্ডিং ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স লাভলিহুড ইন ভারনালেবল ল্যান্ডস্কেপস ইন বাংলাদেশ; বরিশাল জেলার সদর উপজেলার চরকাউয়া, চাঁদমারী, জাগুয়া, লামচরি এবং চরমোনাই এলাকা কীর্তনখোলা নদীর ভাঙ্গন হতে রক্ষা (প্রথম পর্যায়); ইনস্টিটিউট অব ন্যানোটেকনোলজি স্থাপন; ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট।
অন্যান্য প্রকল্প হলো- ইকোনমিক এক্সিলারেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ফর এনইইটি (ইএআরএন) প্রজেক্ট; সেফার সাইবারস্পেস ফর ডিজিটাল বাংলাদেশ: এনহ্যান্সিং ন্যাশনাল অ্যান্ড রিজিওনাল ডিজিটাল ইনভেসটিগেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ পুলিশ; ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার পুনর্র্নিমাণ; বাংলাদেশ সড়ক নিরাপত্তা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সেকশনে বিদ্যমান মিটারগেজ রেললাইনের সমান্তরাল ডুয়েলগেজ রেললাইন নির্মাণ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়ন প্রকল্প।
সূত্র: বাসস