নিউজ ডেস্ক : দেশের অন্যতম শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ঘরভর্তি বিভিন্ন পণ্য ফ্রি পেয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার কৃষক জাহাঙ্গীর আলম। একটি ফ্রিজ কিনে মার্সেলের ঘরভর্তি ইলেকট্রনিক্স পণ্য ফ্রি পেয়ে মহাখুশি জাহাঙ্গীরের পরিবার। এর আগে মার্সেল ফ্রিজ কিনে লাখ টাকার ঘরভর্তি পণ্য ফ্রি পেয়েছেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ছানোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করতে সারা দেশে চলছে মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের প্রতি সিজনেই চমকপ্রদ সব সুবিধা দিয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটি বিপুল সাড়া পেয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সিজন-১৭ এর আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, টিভি, এসি এবং ওয়াশিং মেশিন কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচারে ঘরভর্তি বিভিন্ন পণ্য ফ্রি। পাশাপাশি রয়েছে নিশ্চিত উপহার।
এছাড়া বিশেষ অফারের আওতায় মার্সেল ফ্রিজ, এলইডি টিভি এবং ওয়াশিং মেশিনের জন্য নিশ্চিত পুরস্কার হিসেবে থাকছে ২০০ টাকা ক্যাশব্যাক। এছাড়া, স্মার্ট টিভিতে থাকছে নিশ্চিত ১ বছরের ফ্রি বঙ্গওয়াল সাবস্ক্রিপশন কুপন। এসিতে রয়েছে ১ মাস থেকে সর্বোচ্চ ১ বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ বিল পাওয়ার সুযোগ এবং নিশ্চিত ২ থেকে ৩টি ফ্রি ক্লিনিং সার্ভিস। এছাড়া, পণ্য কেনায় গ্রাহকরা পাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্যাশ ভাউচার।
৩০ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ পর্যন্ত ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন ১৭ তে দেয়া এসব সুবিধা পাচ্ছেন মার্সেল পণ্যের গ্রাহকরা।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) উপজেলার কলেজ রোডে মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘নিয়ামত মটরসে’ আনুষ্ঠানিকভাবে জাহাঙ্গীর আলমের হাতে ১ লাখ ৫৯০ টাকার ঘরভর্তি ১৬ ধরনের ইলেকট্রনিক্স পণ্য তুলে দেন মার্সেলের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ুন কবীর, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া, ড. শাখাওয়াত হোসেন, সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমিন, মার্সেলের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আসাদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এমদাদ হোসেন এবং সিংড়ায় মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটর ‘নিয়ামত মটরস’-এর স্বত্বাধিকারী মো. নুর এ আলম।
সৌভাগ্যবান ক্রেতা জাহাঙ্গীর আলম রামানন্দ খাজুরা ইউনিয়নের চৌপুকিরিয়া গ্রামের আহাদ আলী ছেলে। দুই ছেলেসহ ৬ সদস্যের পরিবারের প্রধান তিনি। কৃষক জাহাঙ্গীর আলম গত ১৩ এপ্রিল ২১৩ লিটারের একটি মার্সেল ফ্রিজ কেনেন। শোরুম থেকে পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এরপর কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে জাহাঙ্গীর আলমের মোবাইলে ঘরভর্তি উপহার পাওয়ার মেসেজ যায়।
জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী মিমি বেগম জানান, তার স্বামী পড়ালেখা জানেন না। তিনি তার চাচাতো ভাই জাফর আলমকে মেসেজটি দেখান। একটি ফ্রিজ কিনে এতোগুলো পণ্য পাওয়া যায় তা কারো বিশ্বাসই হচ্ছিলো না। এরই মধ্যে শোরুম ম্যানেজার ফোন করে ঘরভর্তি পণ্য পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একটি ফ্রিজ কেনার পর এতগুলো পণ্য একসঙ্গে পাওয়ায় মার্সেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান তিনি। ঘরভর্তি ফ্রি পণ্যের মধ্যে রয়েছে ওয়াশিং মেশিন, ফ্রিজার, এলইডি স্মার্ট টিভি, গ্যাস স্টোভ ও ইলেকট্রিক ফ্যান ইত্যাদি। এসব পণ্য বাসায় নিজেদের প্রয়োজনেই ব্যবহার করবেন বলে জানান মিমি।
সিংড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশেই এখন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করছে মার্সেল। তাই সবাই দেশীয় প্রতিষ্ঠান মার্সেলের পণ্য কিনে দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ বলেন, মার্সেল নিজস্ব কারখানায় আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন করছে। ভালো মানের পণ্য যদি দেশেই পাওয়া যায় তাহলে আমাদের আর বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাকাতে হয় না। সেসময় তিনি দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশেই থাকে বলেও মন্তব্য করেন।
জানা গেছে, ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত সেবা নিতে পারছেন গ্রাহক।