৫ বছরে সিজার বেড়েছে ১১ শতাংশ

নিউজ ডেস্ক : দেশে গত ৫ বছরে সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের সংখ্যা ১১ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৭ সালের তুলনায় ২০২২ সালে সিজারের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৪ থেকে ৪৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট (নিপোর্ট) পরিচালিত ‘বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০২২ (বিডিএইচএস) থেকে এ কথা জানানো হয়।

জরিপে বলা হয়, বিগত যে কোন সময়ের তুলনায় দরিদ্র মহিলাদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী মহিলাদের ক্ষেত্রে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তুলনায় ধনীদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের মাত্রা ছয় গুণ বেশি ছিল। ২০২২ সালে দরিদ্রদের তুলনায় ধনীদের সেবা গ্রহণ দ্বিগুণে নেমে এসেছে।

৮৮ শতাংশ মহিলা অন্তত একবার প্রশিক্ষিত কোন স্বাস্থ্য কর্মী থেকে গর্ভকালীন সেবা গ্রহণ করেছেন, যা ২০১৭ সালে ছিল ৮২ শতাংশ। কিন্তু কোভিড চলাকালীন চারবারের বেশি গর্ভকালীন সেবা গ্রহণ করেছেন এই সংখ্যা ৪৭ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে ৪১ শতাংশে নেমে এসেছিল।

জন্ম বিরতিকরণ প্রসঙ্গে জরিপে বলা হয়, জন্ম বিরতিকরণ সামগ্রী ব্যবহারের হার বিগত সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জন্ম নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতির ব্যবহারের হার ৩ বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।

অল্প বয়সে বিয়ের সংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। ২০ থেকে ২৪ বছরের মহিলাদের মধ্যে ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাওয়ার মাত্রা ২০১১ সালে ছিল ৬৫ শতাংশ, ২০১৭ এটা কমে দাঁড়ায় ৫৯ শতাং এবং ২০২২ সালে তা ৫০ শতাংশে নেমে এসেছে।

২০২২ সালের হিসাব অনুযায়ী, মহিলা প্রতি সন্তানের সংখ্যা ২ দশমিক ৩ জন। তবে, কিশোরী বয়সেই সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্রা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কমেছে। ২০১৭ সালে এ মাত্রা ছিল ২৮ শতাংশ, ২০২২ সালে এটা কমে হয়েছে ২৩ শতাংশ।

নিপোর্ট মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু (এনডিসি), ইউএসএইড বাংলাদেশ পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন পরিচালক ক্যারি রাসমুসেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে সারের দাম বাড়াতেই হলো: কৃষিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই