ফের বেড়েছে চিনি-ব্রয়লার মুরগির দাম

নিউজ ডেস্ক : কিছুটা কমার পর রাজধানীর বাজারগুলোতে আবার বেড়েছে চিনি ও ব্রয়লার মুরগির দাম। একই সঙ্গে বেড়েছে পাম অয়েল, হলুদ ও ধনিয়ার দাম। তবে ময়দা, খোলা সয়াবিন তেল, রসুন, এলাচ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশ (টিসিবি) থেকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে রাজধানীর শাহজাহানপুর, মালিবাগ বাজার, কারওয়ানবাজার, বাদামতলী বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত বাজার, মৌলভীবাজার, মহাখালী বাজার, উত্তরা আজমপুর বাজার, রহমতগঞ্জ বাজার, রামপুরা এবং মীরপুর-১ নম্বর বাজারের পণ্যের দাম সংগ্রহ করে এ তথ্য তথ্য দিয়েছে টিসিবি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে টিসিবির তৈরি করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চিনির দাম নতুন করে বেড়েছে ৬ এপ্রিল। এক দশমিক ৩৪ শতাংশ বেড়ে চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১২ থেকে ১১৫ টাকা, যা আগে ছিল ১১০ থেকে ১১৪ টাকা। রোজার শুরুতে চিনির কেজি ছিল ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। অর্থাৎ রোজার মধ্যেই চিনির দাম কিছুটা কমার পর এখন আবার বাড়লো।

ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ৪ এপ্রিল। ১১ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২১০ টাকা। আগে যা ছিল ১৭০ থেকে ১৯০ টাকা। অবশ্য মাঝে ব্রয়লার মুরগির কেজি ২৮০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। চিনির মতো ব্রয়লার মুরগির দামও রোজার মধ্যে কিছুটা কমে এখন আবার বেড়েছে।

টিসিবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, খোলা পাম অয়েলের দাম বেড়েছে ৭ এপ্রিল। এক দশমিক ৯৬ শতাংশ বেড়ে খোলা পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। ধনিয়ার দাম বাড়ে ৬ এপ্রিল। ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।

দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের হলুদের দাম বেড়েছে ৬ এপ্রিল। দেশি হলুদের দাম ১৮ দশমিক ১৮ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৯০ টাকা। আগে যা ছিল ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। আমদানি করা হলুদের দাম ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২৩০ টাকা। আগে যা ১৯০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্যাকেট ময়দার দাম কমেছে ২ এপ্রিল। ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ কমে প্রতি কেজি প্যাকেট ময়দা বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ৭৫ থেকে ৭৮ টাকা। একইদিন কমেছে খোলা সয়াবিন তেলের দাম। শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে খোলা সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ থেকে ১৭৫ টাকা, যা আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা।

দেশি রসুনের দাম কমেছে ৪ এপ্রিল। ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ কমে দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৯০ থেকে ১২০ টাকা। এর দুইদিন আগে অর্থাৎ ২ এপ্রিল কমে আমদানি করা রসুনের দাম। ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমে আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা।

ছোট এলাচের দাম কমেছে ৭ এপ্রিল। ৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ কমে এক কেজি ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। যা আগে ছিল এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। এছাড়া ডিমের দাম কমেছে ৪ এপ্রিল। ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে এক হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৭ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাস্তা-ফুটপাতে বাজার বসিয়েছে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা
পরবর্তী নিবন্ধমার্চে প্রতিদিন ৭ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করেছে রাশিয়া