নিউজ ডেস্ক : ভয়াবহ আগুনে বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা রাস্তায়, ফুটপাতে কাপড়ের দোকান বসিয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে আগুনে পুড়ে যাওয়া বঙ্গবাজারের দক্ষিণ পাশের ফুটপাতে, ফ্লাইওভারের নিচে প্রায় পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী কাঠের চকিতে দোকান নিয়ে বসেছে।
আগুনের গ্রাস থেকে যেসব কাপড় বাঁচাতে পেরেছিলেন সেগুলো নিয়েই বসেছেন অনেকে। দোকানগুলো ঘিরে জনসমাগম হলেও এখনও বিক্রি জমে ওঠেনি। সব ব্যবসায়ীর চোখে মুখে কষ্টের ছাপ।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেটুকু মালপত্র বাঁচাতে পেরেছে তা নিয়ে বসেছে তারা। ঈদের আগে কিছু বেচাবিক্রি হলে কর্মচারীদের বেতন কিছুটা দিতে পারবে বা নিজেদেরও কিছুটা সহায়তা হবে।
ফ্লাইওভারের নিচে দোকান নিয়ে বসেছে মো. রাহিম। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, বঙ্গ মার্কেটে দুটি দোকান ছিল। দুটো দোকানই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কিছু মালামাল সরাতে পেরেছিলাম। তাই নিয়ে এসেছি। বিক্রি নাই বললেই চলে। কারণ আমাদের রেগুলার কাস্টমাররা তো দোকানের ঠিকানা জানে না। এবার ঈদ যে কীভাবে করবো একমাত্র আল্লাহই ভালো জানে।
বঙ্গবাজারের গুলিস্থান মার্কেটে জিন্সের প্যান্ট ও শার্টের দোকান ছিল সাইফুল ইসলামের। দোকান পুড়ে এখন তারও ঠিকানা ফুটপাত। সাইফুল বলেন, সব কিছু শেষ হয়ে গেছে। বাসায় খাবারের টাকা নেই। তাই বাধ্য হয়ে ফুটপাতে দোকান বসিয়েছি।
কথা হয় ব্যবসায়ী রিয়াজ হাওলাদারের সঙ্গে। গেঞ্জি, পাজামা, ট্রাউজার নিয়ে বসেছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবাজারের আর্দশ মার্কেটে দুটি দোকান ছিল। দুটোই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কোনও মালামাল উদ্ধার করতে পারিনি। নতুন করে কিছু মাল কিনে আজকে দোকান নিয়ে বসেছি। এখনও জানাজানি হয়নি। সে কারণে বেচা বিক্রিও কম।
গত ৪ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে বঙ্গ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও এনেক্সকো টাওয়ার। ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।