রুপিতে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের উদ্যোগ

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশ যাতে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করতে পারে, সেই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক জানিয়েছেন, মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি ব্যবহার করে ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। কিছু দ্বিপাক্ষিক সমস্যা রয়েছে। সেগুলোর সমাধানের কাজ চলছে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করছি।

দুদেশের মধ্যে বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ভারতে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ভারত থেকে পণ্য আমদানি করেছিল এক হাজার ৬১৯ কোটি ডলারের। ঘাটতির পরিমাণ এক হাজার ৪১৯ কোটি ডলার।

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের এত বড় অঙ্কের বাণিজ্যে রুপির ব্যবহার শুরু হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে সব ধরনের পর্যালোচনা করেছে। এটি পর্যায়ক্রমে বাড়বে।

এলসি খোলার জন্য নির্দিষ্ট ডলার কোটা থাকবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী এলসি খোলা হবে। আমরা রপ্তানির চেয়ে বেশি আমদানি করছি ভারত থেকে। এ জন্য বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। ফলে ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে এ বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

নাম না প্রকাশের শর্তে বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্য একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ভারতের সঙ্গে রুপিতে বাণিজ্য করতে হলে ভারত ও বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে রুপি ব্যবহারের জন্য পৃথক চুক্তিতে সই করতে হবে। এগুলো নিয়ে কাজ চলছে।

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের বিষয়ে দুদেশের ব্যবসায়ীরাও প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই দেশের বাণিজ্যের পুরো চিত্র ইতোমধ্যে ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি একটি প্রস্তাব আকারে বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়েছে।

গত বছরের ২২-২৩ ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাণিজ্যবিষয়ক বাংলাদেশ-ভারত মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত উভয় দেশের জন্য বাণিজ্যের মাধ্যম হিসাবে রুপি চালু করার প্রস্তাব করেছিল।

এরপর চলতি এ বছর ২৪-২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত জি-২০ দেশগুলোর অর্থমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠকের ফাঁকে বিনিময় মুদ্রা হিসাবে ডলারের বিকল্প বিষয় নিয়ে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল।

সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার ও রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপি ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাজারমূলধন বাড়লেও লেনদেন কমেছে শেয়ারবাজারে
পরবর্তী নিবন্ধকলাগাছের আঁশের সুতা থেকে শাড়ি