নিউজ ডেস্ক : পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত বেসরকারি খাতের এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ও মোট সম্পদ (এনএভি) বেড়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে সমন্বিতভাবে ব্যাংকের ইপিএস দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ২ পয়সায়। গত বছরের জানুয়ারি-মার্চে যা ছিল ৮০ পয়সা। আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ৭০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ টাকা।
রোববার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ১৬৪তম সভায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অনুমোদিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের মার্চ শেষে সমন্বিত হিসেবে ব্যাংকটির ব্যালান্স শিটের আকার দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৬৮৬ কোটি টাকা। গত বছরের মার্চে যা ছিল ২৫ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া সমন্বিতভাবে চলতি বছরের মার্চে ব্যাংকটির মোট সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪১০ কোটি টাকা। গতবছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। এককভাবে এনএভি হয়েছে ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।
এছাড়া সমন্বিতভাবে ২০২২ সালের মার্চে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৭৮ পয়সায়। গত বছরের ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬ টাকা ৭৩ পয়সা। আর এককভাবে শেয়ার প্রতি এনএভি দাঁড়িয়েছে ১৭ টাকা ৩৪ পয়সা, গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৬ টাকা ৩১ পয়সা।
চলতি বছরের মার্চ শেষে আমানতের পরিমাণ সাড়ে ১৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ১১ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে এই পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, এ এম সাইদুর রহমান, মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ নাজিম, স্বতন্ত্র পরিচালক ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) আবু এশরার ও ড. রাদ মুজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) গোলাম আউলিয়া, ডিএমডি ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আহসান হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে যাত্রা শুরু করা এনআরবিসি ব্যাংক ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে নিবন্ধিত হয়। গ্রাম-বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেবা কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে ব্যাংকটি ইতোমধ্যে ১০৩টি শাখা এবং দেড় হাজারটি উপশাখা, এজেন্ট পয়েন্ট ও বুথ চালু করেছে।