নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী বছরগুলোতে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সক্ষমতা বাড়াতে বাংলাদেশ পোশাকশিল্পে বৈচিত্র্যকরণ, প্রযুক্তির মানোন্নয়ন, দক্ষতা, পরিবেশগত টেকসই উন্নয়ন ও পোশাক কূটনীতিসহ প্রভৃতি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণ একটি বিশাল অর্জন। জাতি হিসেবে আমরা এ নিয়ে গর্বিত। একইসঙ্গে এ অর্জন দেশের সামনে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের নতুন বাস্তবতা উপস্থাপন করবে।
মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্পখাত: মধ্যআয়ের দেশে রূপান্তরিত হওয়ার পরের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ক ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ২০২৩’-এ অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক হাসান বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে গ্র্যাজুয়েশনের সম্ভাব্য সুবিধাগুলোর সুফল ভোগ করার জন্য বাংলাদেশকে ভালোভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশের শিল্প, বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোতে তাৎক্ষণিকভাবে যে প্রভাব পড়বে, তা হলো বাজার প্রবেশাধিকারে সম্ভাব্য পরিবর্তনগুলো আসবে। স্বলোন্নত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশ ইইউ, কানাডা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো কয়েকটি এশিয়ান দেশসহ প্রধান বাজারগুলোতে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েশনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য নির্দিষ্ট করা বিশেষ ও অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য যোগ্য থাকবে না। গ্র্যাজুয়েশন পরবর্তীকালে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশকে তার কূটনৈতিক দক্ষতা বাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে এখন থেকেই সম্ভাব্য বাণিজ্য অংশীদার দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ, পিটিএ, আরসিইপিসহ দ্বি-পাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাগুলো সম্পাদনের বিষয়ে ভাবতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, শিল্পটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখতে বৈচিত্র্যময় উচ্চমূল্যের পণ্য, বিশেষ করে নন-কটন আইটেম তৈরিতে সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি পণ্য, প্রক্রিয়া, প্রযুক্তি উদ্ভাবনে সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষতার ঘাটতি পূরণ ও উন্নয়ন প্রভৃতি ক্ষেগুলোতে অগ্রাধিকার দিয়েছে।