নিউজ ডেস্ক : বায়ুদূষণে বাংলাদেশের অবস্থান প্রায় প্রতিদিনই ওঠানামা করে। একদিন বাড়ে তো অন্যদিন কমে। সেই ধারাবাহিকতায় আজ (সোমবার, ২৯ মে) দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থান করছে পাকিস্তানের লাহোর; তারপরই সমান স্কোর নিয়ে ঢাকা এবং জাকার্তার অবস্থান।
সকাল ৯টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৬৯ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’। এছাড়া ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।
ঢাকার সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার স্কোরও ১৬৯। এছাড়া আরব আমিরাতের দুবাই ১৬৭ একিউআই নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। একদিন আগে রোববার (২৮ মে) ১৬৭ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষ ছিল ঢাকা। এর আগের দিন শনিবার (২৭ মে) ৯২ স্কোর নিয়ে ঢাকার অবস্থান ছিল ১২তম।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এ তালিকা প্রকাশ করে। একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
এদিকে, ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।