ব্র্যাক ব্যাংকের লভ্যাংশ অনুমোদন

নিউজ ডেস্ক : বেসরকারি খাতের ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতি শেয়ারে ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার জন্য অনুমোদন করেছেন শেয়ারহোল্ডররা। এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ ও সাড়ে ৭ শতাংশ বোনাস শেয়ার রয়েছে।

বুধবার (৩১ মে) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশাল সংখ্যক শেয়ারহোল্ডার এ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এর আগে ব্যাংকের পর্ষদ সভায় ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রস্তাব এজিএমে শেয়ারহোল্ডাদের সর্বসম্মতিতে ২০২২ সালের জন্য এ লভ্যাংশ অনুমোদন হয়।

ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসানের সভাপতিত্বে বার্ষিক সাধারণ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আসিফ সালেহ, ফাহিমা চৌধুরী, ফারজানা আহমেদ, ড. জাহিদ হোসেন, শামেরান আবেদ, ড. মোস্তাফা কে. মুজেরী, ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ এবং সালেক আহমেদ আবুল মাসরুর।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর এফ হোসেন শেয়ারহোল্ডারদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।কোম্পানি সেক্রেটারি এম মাহবুবুর রহমান সভাটি পরিচালনা করেন।

সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জানানো হয়, ২০২২ সালে সামষ্টিকভাবে ব্র্যাক ব্যাংকের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ৬১২ কোটি টাকায় উন্নিত হয়েছে, যা ২০২১ সালে ছিল ৪৬৫ কোটি টাকা। ব্র্যাক ব্যাংক এককভাবে ২০২২ সালে ৫৭৬ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে, যা ২০২১ সালের ৫৫৫ কোটি টাকার তুলনায় ৩.৯০ শতাংশ বেশি।

সভায় শেয়ারহোল্ডাররা কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন দুই হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার অনুমোদন দেন। কোম্পানি আইন ১৯৯৪ (সংশোধনী ২০২০) অনুযায়ী ব্যাংকের নিবন্ধিত নাম ‘ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড’ থেকে ‘ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি’ করার অনুমোদন দেন।

সভায় ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম হাসান বৈশ্বিক রাজনৈতিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, মহামারি পরবর্তী প্রভাব এবং আর্থিক খাতে চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকের অসামান্য আর্থিক কর্মক্ষমতা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিবেদিত প্রচেষ্টা, গ্রাহক ও শেয়ারহোল্ডারদের আস্থার কারণেই ব্যাংক প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরতে পেরেছে। গ্রাহক আমানত, ঋণ ও অগ্রিমের লক্ষ্যণীয় প্রবৃদ্ধি ছিল ২০২২ সালের প্রধান সাফল্য। সংকটময় সময়ে ব্যাংকের পাশে থাকার জন্য তিনি শেয়ারহোল্ডার, গ্রাহক, ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, স্টেকহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ২০২৩ সাল ও এর পরবর্তী সময়ে ব্র্যাক ব্যাংক লক্ষ্যণীয় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাজেট অধিবেশন শুরু
পরবর্তী নিবন্ধজ্বালানি তেলে সরকার ভর্তুকি দেয় না: সংসদে প্রতিমন্ত্রী