নিউজ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। ব্যবসা-বাণিজ্যেও পিছিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বুধবার (২৪ মে) বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্পের গ্রাউন্ড ব্রেকিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৯৭১ সালে ভারতের সঙ্গে আমাদের যে কানেকটিভিটির বন্ধন রচিত হয়েছিল, ৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সন্দেহ আর অবিশ্বাসের কারণে আমাদের সে কানেকটিভিটিতে ছেদ পড়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছরে সেটি যদি আমরা বন্ধ করতে পারতাম, তাহলে আমাদের সম্পর্কের আরও উন্নতি হতো। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় সেটি সম্ভব হয়নি।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর আমাদের সে ব্যবধান অনেকটা কমিয়ে আনা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও কিছু কিছু সমস্যা আমাদের মধ্যে আছে। তবে এ সমস্যা থাকলেও আমি মনে করি, আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যদি বন্ধুত্বপূর্ণ হয়–আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা যখন সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এবং নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারতের সংসদে এটি সর্বসম্মতিক্রমে রেটিফাই হয়েছে–তেমনি এসব সমস্যাও সমাধান সম্ভব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি সম্পর্কের সন্দেহের দেয়ালটা না ভাঙতাম, তাহলে এটি সম্ভব হতো না। তাই আমাদের সীমান্তে এত বড় ভারতের সঙ্গে শত্রুতা যদি আমরা অব্যাহত রাখতাম, তাহলে আমরা আরও পিছিয়ে যেতাম।’
‘ভারতে সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন আমাদের কানেকটিভিটি, আমাদের বাণিজ্য, আমাদের পরিবহনসহ সব দিক দিয়ে ভারতের যেমন উপকার হয়েছে, তেমনি আমাদেরও উপকার হয়েছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে ভারতে সন্ত্রাসী তৎপরতা চালানো যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ঠিক তেমনি ভারতও তাদের দেশ ব্যবহার করে বাংলাদেশে কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।’