ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শনে ৮ দেশের মিলিটারি ডেলিগেটস

নিউজ ডেস্ক : ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন এবং বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন ৮ দেশের সিভিল সার্ভিস, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী’র ১৯ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল। যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব ডিফেন্স স্টাডিজের (আরসিডিএস) আওতায় প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তাদের এই পরিদর্শন। এর মাধ্যমে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে, ২০২৩) বিকেলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার (অব.) আরাফাতের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট (অব.) স্যার জর্জ পেম্বার্টন রস নরটোনের নেতৃত্বে মিলিটারি প্রতিনিধিদল গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শন করে। প্রতিনিধিদলে ছিলেন যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, নরওয়ে, স্পেন, নাইজেরিয়া, চেক রিপাবলিক ও নেদারর‌্যান্ডসের মিলিটারি সদস্যরা।

অতিথিরা ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদেরকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়খুজ্জামান। সে সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মহসিন আলী মোল্লা ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের ইনচার্জ আব্দুর রউফ প্রমুখ।

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের ফ্রিজ প্রোডাকশন প্ল্যান্টে প্রতিনিধিদল

পরিদর্শনের পর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট (অব.) স্যার জর্জ পেম্বার্টন রস নরটোন বলেন, আন্তর্জাতিক মানের একটি প্রোডাকশন এরিয়া ঘুরে দেখলাম। ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সে না এলে বুঝতেই পারতাম না, কিভাবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক, শিল্প ও প্রযুক্তি খাতসহ নানা সেক্টরে ব্যাপকভাবে উন্নতি করছে। এসব আমরা বাইরে থেকে শুনেছি। এখন সরেজমিনে দেখে মুগ্ধ হয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ওয়ালটনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া খুব সুন্দরভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। ওয়ালটন হেড কোয়ার্টারের বিশালাকার ম্যানুফ্যাকচারিং এরিয়ার ভেতর ফ্রিজ, এসি, টিভি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদিত হচ্ছে। ওয়ালটন সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার যে লক্ষ্যে ওয়ালটন এগিয়ে যাচ্ছে, আমার মনে হয়, তা বাস্তবায়নে প্রতিষ্ঠানটি অবশ্যই সফল হবে।

ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্সের কম্প্রেসর প্রোডাকশন প্ল্যান্টে প্রতিনিধিদল

মিলিটারি ডেলিগেটদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আরসিডিএস’র সিনিয়র ডিরেক্টিং স্টাফ গ্যাভিন গেলব্রেইথ বারলো, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের উইং কমান্ডার সিন অ্যালেক্সান্ডার ওআরআর, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্নেল জ্যাসন এইনলে, কাতার এয়ার ফোর্সের কর্নেল মাসুদ মোহাম্মেদ এম এ আ হেবাবি, যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর কর্নেল মার্ক জেমস অস্টিন, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন সাইমন এডওয়ার্ড ব্লাকওয়েল, এমওডি ইউকে’র সামান্থা বার্চ, ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর কর্নেল হাগ জিওফ্রে হারগ্রিভস, নরওয়ে এয়ার ফোর্সের ব্রিগেডিয়ার আইস্টেন মাল্কিনস ভার্ভিং, স্পেন সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রান্সিসকো জ্যাভিয়ার লুকাস ডিই সোটো, নাইজেরিয়ান নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন আব্দুল লতিফ বাপ্পা মাহমুদ, ইউকে এফসিডিও’র রুথ মার্ফিল্ড, রয়্যাল নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন সুজি নিলসেন, চেক রিপাবলিক আর্মড ফোর্সে’র ব্রিগেডিয়ার জোসেফ ট্রোজনেক, ইতালি নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন ড্যানিয়েল ভেইলাটি, রয়্যাল এয়ার ফোর্সের গ্রুপ ক্যাপ্টেন অ্যান্ড্রু ডেভিড তার্ক এবং নেদারল্যান্ডস সেনাবাহিনীর কর্নেল গ্রিটজি জ্যানি ভ্যান নেস।

হেড কোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। এর পর তারা ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টারসহ ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির রেফ্রিজটারেটর, টেলিভিশন এবং মোল্ড ও ডাই ইত্যাদি পণ্যের প্রোডাকশন প্ল্যান্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রাইম ব্যাংক ও ক্রাউন প্লাজা ঢাকা গুলশান’ এর মধ্যে চুক্তি
পরবর্তী নিবন্ধদাখিলের স্থগিত পরীক্ষা ২৭ ও ২৮ মে