স্পোর্টস ডেস্ক : গ্রুপ পর্বে যে গতিতে একের পর এক ম্যাচ জয় করে শীর্ষে থেকেই প্লে-অফে উঠে এসেছিলো গুজরাট টাইটান্স। হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে অনেকেই ভেবেছিলো অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু প্রথম কোয়ালিফায়ারে সেই অপ্রতিরোধ্য দলটিই ভেঙে পড়লো মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের সামনে। তাদেরকে ১৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ১০ম বারের মত আইপিএলের ফাইনালে নাম লিখলো চেন্নাই সুপার কিংস।
বয়স ৪২ ছুঁই ছুঁই। এই বয়সেও যে ক্ষুরধার নেতৃত্ব মহেন্দ্র সিং ধোনির, তা রীতিমত বিস্ময়কর। তার নেতৃত্বেই এতটা সফল দলে পরিণত হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। এবারও মূলত ধোনির নেতৃত্ব এবং সুচারিত দল পরিচালনার ফলেই ফাইনালে উঠে এসেছে হলুদ জার্সিধারীরা।
বিজ্ঞাপন
চেন্নাইয়ের এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই। জবাব দিতে নেমে চেন্নাই বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় গুজরাট টাইটান্স। এই পরাজয়ের ফলে গুজরাটের বিদায় ঘটে যায়নি। তারা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে আজ মুম্বাই এবং লখনৌয়ের মধ্যে বিজয়ী দলের বিপক্ষে।
জয়ের জন্য ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মোটামুটি ভালোই সূচনা করেছিলো গুজরাট। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিল মিলে ৩ ওভারে ২২ রানের জুটি গড়ে বিচ্ছিন্ন হন। ঋদ্দিমান ১২ রান করে আউট হন। ৪২ রান করেন শুভমান গিল।
বিজ্ঞাপন
তবে শুভমানছাড়া গুজরাটের টপ অর্ডার এবং মিডল অর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। হার্দিক পান্ডিয়া ৭ বলে করেন ৮ রান। লঙ্কান দাসুন সানাকা আউট হন ১৬ বলে ১৭ রান করে। ডেভিড মিলার আউট হয়ে যান ৪ রান করে। বিজয় শঙ্কর করেন ১৪ রানে। রাহুল তেওয়াতিয়া মাত্র ৩ রান করে বিদায় নেন।
শেষ দিকে আফগান রশিদ খান মাঠে নেমে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ১৬ বলে তার করা ৩০ রান কেবল ব্যবধানই কমিয়েছে। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও মারেন তিনি। আরেক আফগান নুর আহমদ ৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। মোহাম্মদ শামি ৫ রান করে আউট হন একেবারে শেষ বলে এসে।
চেন্নাইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন দিপক চাহার, মহেশ থিকসানা, রবিন্দ্র জাদেজা এবং মাথিসা পাথিরানা। ১ উইকেট নেন তুষার দেশপান্ডে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে চেন্নাই সুপার কিংস। ঋুতুরাজ গায়কোয়াড় করেন সর্বোচ্চ ৬০ রান। ৪০ রান করেন ডেভন কনওয়ে। ২২ রান করেন রবিন্দ্র জাদেজা এবং ১৭ করে রান করেন আজিঙ্কা রাহানে ও আম্বাতি রাইডু।