প্রত্যাহার হচ্ছে সুগন্ধি চালের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : শিগগির সুগন্ধি চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে যাচ্ছে সরকার। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সার্কুলার এখনো না দেওয়া হলেও কোনো রপ্তানিকারক চাইলে এখনই সুগন্ধি চাল রপ্তানি করতে পারবেন বলেও জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন জাগো নিউজকে বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা এখনো প্রত্যাহার হয়নি। তবে প্রত্যাহারের একটি আবেদন এসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। আমরা এ বিষয়টি কেবিনেটে আলাপ করবো। প্রধানমন্ত্রীর নজরে দিয়ে বিষয়টির পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো।

খাদ্যসচিব ইসমাইল হোসেন আরও বলেন, তবে আমরা বিষয়টি বিবেচনা করছি। এ বছর চালের উৎপাদন ভালো।

দেশে চালের বাজারে স্থিতিশীলতার জন্য গত বছরের জুনে সুগন্ধি চালের রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছর দেশে চালের বাম্পার ফলন হয়েছে। যে কারণে সুগন্ধি চাল রপ্তানি চালু করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো আপত্তি নেই এমনটিও বলেছেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। তবে তারা নাম প্রকাশ করেননি।

বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ একটি গণমাধ্যমকে জানান, এখন থেকে কেস-টু-কেস ভিত্তিতে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। অনেকেই আবেদন করেছেন। সার্কুলার না দেওয়া হলেও কোনো রপ্তানিকারক চাইলে এখনই সুগন্ধি চাল রপ্তানি করতে পারবেন।

সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধের আগে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার টন চাল রপ্তানি হতো। এর বড় বাজার ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ইউরোপ, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর। আরও অন্যান্য দেশগুলো মিলে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৩৬টি দেশে রপ্তানি হতো এ চাল। দেশের বড় বড় করপোরেট কোম্পানিসহ বিভিন্ন রপ্তানিকারক এ চাল রপ্তানি করতো।

এদিকে বাংলাদেশ থেকে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ থাকায় দেশীয় কোম্পানিগুলো রপ্তানি বাজার হারাচ্ছে। তারা বলছে, শুধু সুগন্ধি চাল থেকে রপ্তানি আয় বন্ধ তা নয়, এ চালের কারণে অন্যান্য কৃষিপণ্যের রপ্তানি আয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কারণ দোকানে গেলে বাংলাদেশি সুগন্ধি চালের সঙ্গে ক্রেতারা অন্যান্য উপকরণও কিনতেন।

ভারত-ভিয়েতনাম থেকে চাল কেনার খরচ কমলো ভারত-ভিয়েতনাম থেকে চাল কেনার খরচ কমলো

রপ্তানিকারকরা জানান, দেশে সুগন্ধি চালের উৎপাদন ১৮ থেকে ২০ লাখ টন। এর সর্বোচ্চ ২ শতাংশ পর্যন্ত রপ্তানি করা হয়। এর কারণে রপ্তানি চালু থাকলে সামগ্রিক বাজারে কোনো প্রভাব পড়বে না।

এর আগে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, এসিআই, টিকে গ্রুপ, ইফাদ গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে সুগন্ধি চাল রপ্তানির সুযোগ চেয়ে আবেদন করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) কাছে বিষয়টি নিয়ে মতামত চায়। ট্যারিফ কমিশন সূত্র জানিয়েছে, রপ্তানিতে তাদের কোনো আপত্তি নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআম রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৪ হাজার টন
পরবর্তী নিবন্ধঢাকা ব্যাংককে বোনাস লভ্যাংশ প্রদানে বিএসইসির সম্মতি